গ্র্যামিতে আকাশ ছুঁলেন বিয়ন্সে, সুইফটও উড়ছেন

বয়স তখন মোটে সাত। টেক্সাসের গানের প্রতিযোগিতায় তাক লাগিয়ে দেয় মেয়েটা। হারিয়ে দেয় নিজের দ্বিগুণ বয়সী শিল্পীকে! কিন্তু সেই জয় নিয়ে বসে থাকলে আর হতো না। পাঁচ বছর পর আরেক আয়োজনে খোঁজা হচ্ছিল শিশু তারকা। এবার হেরে যায় সমবয়সীর কাছে। আর ওই ‘হেরে যাওয়াটা’ যে কত বড় শক্তি, সেটাই প্রতিবছর বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন বিয়ন্সে। রেকর্ড গড়লেন গ্র্যামিতে। এবারসহ মোট ২৮ বার জিতলেন পুরস্কারটি। তিনিই এখন সবচেয়ে বেশি গ্র্যামি জেতা নারী শিল্পী। তার সমান গ্র্যামি জেতা পুরুষ শিল্পী হলেন কুইন্সি জোনস এবং ৩১ বার জিতেছেন প্রয়াত শিল্পী জর্জ সলতি।বিয়ন্সে

২৭তম গ্র্যামি জেতার পর তার সঙ্গে টাই হয়েছিল অ্যালিসন ক্রসের। আর তাই সেরা আর অ্যান্ড বি পারফরম্যান্সের জন্য গ্র্যামি জেতার খবর শুনে আগেরবারের চেয়ে একটু বেশিই উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন টেক্সাসের এই অন্তর্মুখী তারকা। ‘আমি সম্মানিত বোধ করছি। একই সঙ্গে খুব খুশি, খুব!’

বিয়ন্সের সঙ্গে টেইলর সুইফটও গড়েছেন একটা রেকর্ড। রবিবারের অনুষ্ঠানে টেইলর সুইফট-এর ফোকলোর জিতলো অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার খেতাব। এ নিয়ে তিনবার। শেষবার ২০১০ সালে ফিয়ারলেস-এর জন্য পেয়েছিলেন এই পুরস্কার।টেইলর সুইফট

‘ব্ল্যাক প্যারেড’ গানটির জন্য জেতা গ্র্যামিটাকে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের জন্য উৎসর্গ করলেন বিয়ন্সে। ‘শিল্পী হিসেবে আমি মনে করি আমার কাজ হলো সময়কে প্রতিফলিত করা। আর এখন একটা বেশ বড়-সড় দুঃসময় যাচ্ছে (বর্ণবাদ প্রসঙ্গে)’- বললেন বিয়ন্সে। আরও বললেন, ‘আর তাই এখন জগতের যত কালো রাজা-রানি আছে, তাদের মনোবল যেন বাড়ে, সে আশাই করছি।’

সূত্র: বিবিসি