কলকাতা থেকেও যেন ঢাকার মিছিলের অগ্রভাগে...

সুমন, নচিকেতা আর অঞ্জন, এই তিনজন শিল্পী পশ্চিমের হলেও পূর্বেই যেন তাদের মন পড়ে থাকে। সেটা টের পাওয়া যায়, কলকাতায় বসেও বাংলাদেশ তথা ঢাকার প্রতি তাদের টান দেখে। বরাবরই তারা এই দেশের দর্শক-শ্রোতা-আয়োজক নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করে আসছেন।

তবে তিনজনকে ছাপিয়ে কবীর সুমন বরাবরই এগিয়ে, বিশেষ করে মানুষের পক্ষে; প্রতিবাদে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটাননি। গত কয়েকদিন তিনি যেন চরম অপেক্ষায় বসে ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত সফলতা দেখার জন্য। কলকাতায় থেকেও সুমন যেন ঢাকার মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন। 

দেখেছেনও। ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাড়েন দেশটাও। এমন খবরে যখন আনন্দে ভাসছিলো দেশ, তখনই ওপাড়ে বসে কবীর সুমন বাঁধলেন একটা গান। কথাগুলো এমন, মুক্তির এই আলো/ বাংলাদেশ জ্বালালো/ এ-লড়াই মুক্তির গান...।

গানটি লিখে, সুর করে আর মিউজিক বসানোর সময় পাননি। দ্রুতই মুঠোফোনের ক্যামেরা অন করে গেয়ে নিলেন সুমন। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সেটি শেয়ারও করলেন দ্রুত। গানটি প্রকাশের আগেই সুমন বললেন, ‘সুপ্রভাত নববাংলাদেশ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’

শুভেচ্ছা জানিয়ে আর গান গেয়েই থামেননি কবীর সুমন। গত দুদিন ধরে তিনি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে হয়ে পোস্ট শেয়ার করছেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। যেখানে স্থান পাচ্ছে বাংলাদেশের হিন্দু মহাজোট নেতার বক্তব্য থেকে শুরু করে বদলে যাওয়া ঢাকার ট্রাফিক সিস্টেমের ভিডিও।  

বলা দরকার, কবীর সুমন শেখ হাসিনার আমলে যতবারই ঢাকায় গাইতে এসেছেন, রহস্যজনকভাবে ততোবারই পড়েছেন ভেন্যু নিয়ে অনিশ্চয়তায়। অথচ হাসিনা সরকারের অনেক এমপি-মন্ত্রীই কবীর সুমনের বন্ধু ও ভক্ত ছিলেন। ফলে হাসিনা-সুমনের রাজনৈতিক বিভেদ বিষয়ে খুব বেশি স্পষ্ট নয়।