ঈদের আনন্দকে আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিতে প্রচার হয় নানা গল্পের নাটক। যেখানে থাকে হাস্যরস, রোমান্স আর থ্রিলারের ছড়াছড়ি। তবে এসবের ভিড়ে আলাদা করে দাগ কাটে ভিন্নধর্মী কিছু কাজ। ঈদুল আজহায় প্রচার হওয়া তেমনি একটি নাটক ‘সম্মান’।
একজন নীতিবান শিক্ষক ও তার প্রতি এক আদর্শ ছাত্রের সম্মান প্রদর্শন করার গল্প নিয়ে আবর্তিত হয়েছে এই নাটক।
আকবর হায়দার মুন্নার গল্প অবলম্বনে নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন লিমন আহমেদ। নাটকটি নির্মাণ করেছেন তপু খান।
১৩ জুন প্রচার হওয়া নাটকটি এরইমধ্যে ৫ লাখেরও বেশি দর্শক উপভোগ করেছেন। তবে যেটা চমকপ্রদ ঘটনা, তা হলো ১৬ হাজারেরও বেশি লাইক পড়া নাটকটিতে একটিও ডিজলাইক নেই৷ সাড়ে ৯ শতাদিক মন্তব্যের সবই নাটকটির বাস্তবধর্মী গল্প ও প্রধান তিনটি চরিত্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিশেষ করে শিক্ষক চরিত্রে তারিক আনাম খান ও ছাত্রের চরিত্রে জোভানের অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কেটেছে।
নাটকটির প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করে নির্মাতা ও লেখক ইশতিয়াক আহমেদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “মুন্না ভাই ও তপু খানের ‘সম্মান’ দেখলাম। দারুণ গল্প। জোভান অভিনেতা হিসেবে তার শতভাগ দিয়েছেন। কেয়া পায়েল সবসময়ই সাবলীল, প্রাণবন্ত। আর যার কথা বলতে একটু আয়োজন করে নিতে হয়, তিনি তারিক আনাম খান। আমি সবসময়ই ওনাতে মুগ্ধ। এখানে কেবল বাড়িয়েছেন সেটা। সব মিলিয়ে ‘সম্মান’ এই ঈদের ভালো নাটকের তালিকার একটি।”
কৌস্তব সান্ত্রা নামে ভারতীয় এক দর্শক নাটকটি দেখে মুগ্ধতা জানিয়ে লিখেছেন, “কাঁটাতারের ওপার থেকে এ ‘সম্মান’ নাটকটি দেখলাম। এই বছর ঈদের সেরা সেরা নাটক এটি হওয়া উচিত। বাস্তব জীবনে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা তো এখন আর দেখাই যায় না খুব একটা। আমি বিগত ৭ বছর ধরে বাংলাদেশের নাটকগুলো দেখি নিয়মিত। এক কথায় অসাধারণ।”
মিজানুর নামে একজন লিখেছেন, ‘হয়তো একদিন জোভান ভাইয়ের মনে থাকবে না এমন একটি নাটকে তিনি অভিনয় করেছিলেন। বর্তমান সময়ে শিক্ষকের প্রতি সম্মান আগের মতো নাই। বর্তমান সমাজটা কেমন একটা হয়ে যাচ্ছে। অসাধারণ সুন্দর একটি নাটক।’
নাটকটি মিশর থেকে দেখেছেন রবিউল ইসলাম নয়ন। নিজের অনুভূতি জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘নাটকটি রিলিজ হবার ১ ঘণ্টা পরই দেখা শুরু করলাম। পুরো নাটকই কান্না করে দেখেছি। এমন সৎ নিষ্টবান শিক্ষকের ছাত্র রাফিরা হাজার বার জন্মাক। তাহলেই আমাদের দেশ থেকে সুদ ঘুষ অন্যায় অবিচার সমাজ থেকে উঠে যাবে।’
নাটকটি নিয়ে পরিচালক তপু খান বলেন, “গতানুগতিক ভাবনার বাইরে গিয়ে একটা কাজ করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। জানি এ ধরনের কাজগুলো ভিউ কম পায়। তবে সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আমরা নাটকটি তৈরি করেছি। সে জায়গা থেকে আমরা সফল। শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের কতোটা শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত, একজন আদর্শ শিক্ষক কেমন হওয়া উচিত সেই গল্প নিয়ে ‘সম্মান’ নাটক। যারা নাটকটি দেখেছেন সবাই প্রশংসা করছেন৷ এটাই আমাদের প্রশান্তি। বিশেষ করে তারিক আনাম স্যার, জোভান ও কেয়া পায়েলের অভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করেছে৷”