বোকো হারামের হামলা

সীমান্ত অঞ্চল থেকে শহরের দিকে ছুটছে মানুষ

শুক্রবার (৩ জুন) নাইজার-নাইজেরিয়া সীমান্তে সেনা অবস্থানে বোকো হারামের হামলার পর দক্ষিণ-পূর্ব নাইজারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ বাঁচাতে নাইজারের বোসো শহরের দিকে ছুটছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এই কথা জানিয়েছে।  

চার দেশের যৌথ বাহিনী

ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র আদ্রিয়ান এডওয়ার্ডস মঙ্গলবার (৭ জুন) জেনেভায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব নাইজারের হাজার হাজার মানুষ বোসো শহরের দিকে ছুটছেন। তিনি আরও জানান, অনেক মানুষ বোসোর ৩০ কিলোমিটার পশ্চিমের তৌমোর অঞ্চলে খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি বলেন, এটি খুবই দরিদ্র এলাকা। এখানে নিরাপত্তাহীনতা আর্থ-সামাজিক রূপরেখাকে পুরোপুরি ভেঙে ফেলেছে। আশ্রয়প্রার্থী এবং আশ্রয়দাতার আত্মনির্ভর সক্ষমতা খুবই সীমিত। বহু মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন এবং তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। লোকজন খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন। তাদের জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয় এবং সহায়তা প্রয়োজন।’

হতদরিদ্র বোসো এলাকার মানুষ

শুক্রবারের হামলায় নাইজেরিয়ার ৩০ জন সেনা সদস্য এবং ২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে পার্শ্ববর্তী নাইজেরিয়া থেকে সীমান্ত পার হয়ে নাইজারের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে সশস্ত্র এ সংগঠনটি। গত ছয় বছরে নাইজেরিয়া সরকার ও বোকো হারামের মধ্যকার সংঘর্ষে অন্তত ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ঘরহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ লাখ মানুষ।

নাইজেরিয়া, শাদ, ক্যামেরুন ও নাইজারের সীমান্তবর্তী অঞ্চল নিয়ে লেক শাদ এলাকা। এ অঞ্চলেই প্রধানত হামলা চালাচ্ছে বোকো হারাম। সশস্ত্র সংগঠনটির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য চার দেশ একত্রিত হয়ে একটি সামরিক জোট গঠন করেছে।

সূত্র: আলজাজিরা।

আরও পড়ুন: 

মুসলিম উৎখাতের ডাক দিলেন হিন্দুত্ববাদী নেত্রী (ভিডিও)

মার্কিন ব্যাংকগুলোতেও হ্যাকিংয়ের ভয়!

নিউ জার্সি জয়ের ফলে আরেক ধাপ অগ্রসর হলেন হিলারি

/এসএ/বিএ/