মিতু হত্যার ঘটনাটি ইসলামে অনুমোদনযোগ্য নয়: আল কায়েদা

সাইটে আনসার আল ইসলামের নিন্দার খবরচট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশীয় আল-কায়েদার (একিউআইএস) বাংলাদেশ শাখা। জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ খবরটি জানিয়েছে।
সাইট ইন্টেলিজেন্সের ওয়েবসাইটে বলা হয়, একিউআইএসের বাংলাদেশ শাখা আনসার আল ইসলামের পক্ষ থেকে মিতু হত্যার নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে ৫ জুন সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, 'এ ধরনের হত্যা ইসলামে অনুমোদনযোগ্য নয়।' জিহাদিদের ওপর দোষ চাপাতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেছে সংগঠনটি।


৫ জুন ভোর সাড়ে ছয়টায় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। তার কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় বদলি হন বাবুল। চট্টগ্রামে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত থাকাকালে জঙ্গি দমনে ভূমিকার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। আর তাই এ ঘটনায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে শুরু থেকেই সন্দেহ করা হচ্ছে।
৫ জুন হত্যার শিকার হন মিতু
বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে মুক্তমনা লেখক, অধ্যাপক, ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং সংখ্যালঘুরা হত্যার শিকার হচ্ছেন। কখনও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস কিংবা কখনও আনসার আল ইসলামের পক্ষ থেকে এসব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করার খবর দিয়ে আসছে সাইট ইন্টেলিজেন্স। এসব সংগঠনের কথিত বার্তা সংস্থাও দায় স্বীকারের খবর প্রকাশ হচ্ছে।   

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় আনসার আল ইসলাম দায় স্বীকার করেছে বলে খবর দেওয়া হয়। এর পর ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী, সমকামী অধিকার কর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকাণ্ডের পরও একই সংগঠনটির পক্ষ থেকে দায় স্বীকারের খবর দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত এ দুটি সংগঠনের কেউই মিতু হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি। এবার  আনসার আল ইসলামের পক্ষ থেকে এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর কথাই জানিয়েছে সাইট ইনটেলিজেন্স। তবে তাদের খবরের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সূত্র: সাইট ইনটেলিজেন্স

/এফইউ/