আগামী একবছর ধরে বৃহস্পতির কক্ষপথের মাপ নেবে ‘জুনো’। বিভিন্ন প্রকারের বিবর্তন ও পরিবেশের বিকিরণসহ বেশকিছু বিজ্ঞানসংক্রান্ত গবেষণা চালাবে এই মহাকাশযান৷ বৃহস্পতিতে জলের উপস্থিতি নিয়েও খোঁজ চালানোর কথা রয়েছে জুনোর৷ আগামী একবছরের জন্য বৃহস্পতি গ্রহে অভিযানে গেলেও প্রয়োজনে জুনোর অবস্থানের সময়সীমা আরও এক বছর বাড়তে পারে। তবে তারপরে আর সময়সীমা বাড়ানো হবে না বলেই জানিয়েছে নাসা৷ বৃহস্পতির প্রাকৃতিক পরিবেশের সার্বক্ষণিক ঘটে চলা বিবর্তণকেই এর কারণ বলেছেন তারা৷
নাসা সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সৌরজগতের ৫৪০ মিলিয়ন মাইল অঞ্চলের ভেতর থেকে পাওয়া সিগন্যাল থেকে তারা জুনোর বৃহস্পতিতে প্রবেশের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার নাসার এক ল্যাবরেটরির স্ক্রিনে ভেসে আসে সেই আনন্দের খরব, ‘বৃহস্পতিতে স্বাগত’। এই খবর পেয়ে উল্লাস করতে থাকেন নাসার জুনো টিমের সদস্যরা। একজন মন্তব্য করেন, ‘সত্যিই এটি বিষ্ময়কর’।
নাসা জানিয়েছে, জুনোর মধ্যে থাকা মূল কম্পিউটারটির মেমরি একটি সাধারণ ল্যাপটপের মেমরির সমান৷ কম্পিউটারটির মধ্যে ২৫৬ মেগাবাইটের ফ্ল্যাশ মেমরি ও ১২৮ মেগাবাইটের ডায়নামিক ব়্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি(ডিআরএএম) রয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত জুনোই হল প্রথম মহাকাশযান যা সৌরজগতে সবচেয়ে বেশি পথ অতিক্রম করেছে৷ গত জানুয়ারিতে সূর্য থেকে ৪৯৩ মিলিয়ন মাইল(৭৯৩ মিলিয়ন কিলোমিটার) পথ অতিক্রম করে এই রেকর্ড করেছিল জুনো৷ সূত্র: বিবিসি
/বিএ/