বিবিসির শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘অভিযান চালিয়ে ৯ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে হত্যা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ’। বাংলাদেশে ব্লগার, মুক্তমনা লেখক ও সংখ্যালঘুদের ওপর একের এক সন্ত্রাসী হামলা ও গুলশানের আর্টিজান হোটেলে হামলার উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত জঙ্গিরা কোন সংগঠনের ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আর্টিজানে হামলার পর এটিই প্রথম অভিযান যেখানে কয়েকজন জঙ্গিকে একসঙ্গে হত্যা করা হয়েছে।
‘বাংলাদেশ: পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৯ জন নিহত’- এমন শিরোনাম করেছে আল জাজিরা। পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয় অপারেশন স্টর্ম ২৬ নামের অভিযানটি এক ঘণ্টা ধরে চলেছে। অভিযানে নিহতরা কালো কাপড় ও সাদা পাগড়ী পরে ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া শিরোনাম করেছে- ‘বাংলাদেশে পুলিশের অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত’। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত জঙ্গিরা কোন সংগঠনের তা জানা না গেলেও পোশাকের ধরন দেখে আর স্লোগান শুনে তাদেরকে ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে ধারণা করছে পুলিশ।
নিউ ইয়র্ক টাইমস ও এবিসি নিউজও একই ধরনের শিরোনাম করেছে।
উল্লেখ্য, অপারেশন স্টর্ম-২৬ নামে চালানো এক ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে ভবনে থাকা ৯ জঙ্গি মারা যায় পুলিশের গুলিতে। অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান এই খবর নিশ্চিত করেছেন। জঙ্গিরা নিহত হবার পর পুলিশ অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে।
র্যাব-পুলিশের অন্তত এক হাজার সদস্য অংশ নেন অভিযানে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভবন ও তার আশেপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই অভিযান শুরু হয়। ওই ভবনে ১১ জন জঙ্গি ছিল। এর মধ্যে সোমবার রাতে ভবনে ঢোকার সময় পুলিশের গুলিতে আহত এক জঙ্গিকে আটক করা হয়।
জানা যায়, জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু করলে জঙ্গিরা আল্লাহু আকবর' ধ্বনি দিয়ে পুলিশকে প্রতিহত করা শুরু করে। তারা পুলিশের ওপর গুলি ও হাত বোমা নিক্ষেপ করে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে এক জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে আহতাবস্থায় আটক করে পুলিশ। অভিযান চালানোর পরে ওই ভবন থেকে পুলিশের ওপর একটি হ্যান্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করা হয়। এতে একজন পুলিশ সদস্য আহত হন। সূত্র: বিবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমস, এবিসি নিউজ, আল জাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া
/এফইউ/