ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার অপারেশন হারকিউলিস নামে সশস্ত্র নতুন এক সন্ত্রাস প্রতিরোধ বাহিনীর পরিচয় করিয়ে দেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার স্যার বার্নার্ড হোগান হাউ। সন্ত্রাস প্রতিরোধে রাস্তায় নামানো হয় ‘হারকিউলিস’ নামধারী সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের সদস্যদের। সশস্ত্র হারকিউলিস সদস্যরা মোটরবাইক, নৌকা এবং ভ্যানে চড়ে বুধবার আত্মপ্রকাশ করেন। টেমস নদীতেও টহল দেন তারা।
কর্তৃপক্ষ জানায় প্রায় ৬শ সশস্ত্র এবং মুখোশধারী অফিসার হারকিউলিস অপারেশনের হয়ে কাজ করবেন।
হামলাকারীরা যেন তাদের চিনতে না পারেন সেকারণে নতুন ইউনিটের কর্মকর্তাদেরকে মুখোশ পরে থাকতে হবে। ফ্রান্সে লরি হামলায় অন্তত ৮৪ জনের মৃত্যুর পর লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় আরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে নিরাপত্তা রক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়। আর বুধবার ঘোষণা দেওয়া হয় সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের। আর আত্মপ্রকাশের প্রথম দিনেই লন্ডনের রাসেল স্কয়ারে ছুরিকাঘাতের ঘটনাকে ‘সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে হারকিউলিসকে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের কেন্দ্রস্থল রাসেল স্কয়ারে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হন। আহত হন অন্তত পাঁচজন। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে রাসেল স্কয়ারে হামলা হয়। হামলায় এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ হামলায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রাসেল স্কয়ারের এ হামলাকে সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা বলে ধারণা করছে পুলিশ। অবশ্য হামলাকারীর মানসিক জটিলতা থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। আর এমন অবস্থায় আত্মপ্রকাশের প্রথম দিনে হারকিউলিস যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তা বলাই যায়। সূত্র: ডেইলি মেইল, বিবিসি
/এফইউ/