সিএলপির নিরঙ্কুশ সমর্থনে নেতৃত্বের লড়াইয়ে আরও এগিয়ে গেলেন করবিন

জেরেমি করবিনদলীয় নেতৃত্বের লড়াইয়ে কন্সটিটুয়েন্সি লেবার পার্টিস (সিএলপি) এর নিরঙ্কুশ মনোনয়ন পেয়েছেন ব্রিটিশ লেবার নেতা জেরেমি করবিন। সোমবার সিএলপি-এর ভোটাভুটির চূড়ান্ত গণনায় ৮৪ শতাংশ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।


উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে লেবার পার্টির স্থানীয় সংগঠনগুলোকে নিয়ে  কন্সটিটুয়েন্সি লেবার পার্টিস (সিএলপি) গঠিত হয়। ২০০৯ সালে এসে নর্দান আয়ার‍্যলান্ড ওই কন্সটিটুেয়ন্সির অংশ হয়। ১৯৮০ সাল থেকে এই সিএলপিতে বামপন্থীদের প্রাধান্য বাড়তে থাকে।  স্থানীয় লেবার পার্টির কার্যক্রম পরিদর্শন ও লেবার পার্টির স্থানীয় নেতা নির্বাচন, পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচনসহ খোদ পার্টির শীর্ষ নেতা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই সংগঠনের। সে কারণেই সিএলপি ভোটে করবিনের নিরঙ্কুশ জয় তার নেত্বত্বের মসৃণ পথকেই নির্দেশ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবার নেতা করবিন সিএলপি-এর ২৮৫টি আসনে সমর্থন পেয়েছেন। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়েন স্মিথ পেয়েছেন মাত্র ৫৩টি আসনের মনোনয়ন। নেতৃত্বের লড়াইয়ে ২০১৫ সালের তুলনায় স্থানীয় দলগুলোতে নিজের সমর্থন দ্বিগুণেরও বেশি করেছেন করবিন। তবে ২০১৫ সালে করবিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চারজন। ওই বছর তিনি সিএলপি-এর ৩৯ শতাংশ সমর্থন পেয়েছিলেন।
নতুন করে নেতৃত্বের লড়াইয়ে করবিনকে সিএলপির মনোনয়ন দেওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তার শিবিরের নেতারা। তারা বলেন, ‘ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের কন্সটিটুয়েন্সি লেবার পার্টিগুলোর সমর্থন পাওয়ায় আমরা সত্যিকার অর্থে কৃতজ্ঞতাবোধ করছি’।

তারা আরও বলেন, ‘দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লেবার সদস্যদের সমর্থন আদায়ের ক্ষেত্রে জেরেমি করবিনই একমাত্র প্রার্থী। এ ফলাফলের মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, লেবার নেতা হিসেবে বহাল থাকার জন্য দলটির সদস্যরা আবারও করবিনকে সমর্থন করবেন’।

করবিনের প্রার্থিতাকে সমর্থন দিয়েছে ইউনিসন ও ইউনাইট নামের আরও দুটি বৃহত্তর ট্রেড ইউনিয়ন। ট্রেন চালকদের প্রতিনিধি আসলেফ ও ইয়ং লিডারের মতো ছোট সংগঠনগুলোও করবিনকে সমর্থন দিয়েছেন।

তবে তৃতীয় বৃহত্তর সংগঠন জিএমবি ওয়েন স্মিথকে সমর্থন দিয়েছে। সোমবার জেউইশ লেবার মুভমেন্টও স্মিথকে সমর্থন দিয়েছেন।

উল্লেখ্য,দলের তৃণমূল কর্মীদের নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে লেবারদের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন করবিন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের আলাদা না হওয়ার পক্ষে অর্থাৎ ‘রিমেইন’ শিবিরের হয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন। তবে ব্রিটিশ জনগণের রায় এর বিপক্ষে যাওয়ার পর দলীয় নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন তিনি। করবিনের বিপক্ষে দলীয় নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জে নামেন ঈগল এবং ওয়েন স্মিথ। পরে অবশ্য স্মিথকে সমর্থন জানিয়ে ঈগল এ লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। করবিন আর স্মিথের মধ্যেই এখন নেতৃত্বের মূল লড়াইটা হবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

/এফইউ/বিএ/