জঙ্গিদের খবর কম দেওয়াই ভালো: কেরি

জন কেরিগণমাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের খবর কম পরিবেশন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। তার মতে, সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের মাত্রা কমানোর মধ্য দিয়ে মিডিয়াগুলো মানুষের উপকার করতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালীন এডওয়ার্ড এম. কেনেডি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কেরি একথা বলেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সফরে আসার পর কেনেডি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন কেরি। সেসময়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ তুলে কেরি সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ, সমস্যা এবং জঙ্গিরা কিভাবে বার্তা ছড়ায় তা নিয়ে আলোচনা করেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, জঙ্গিবাদের খবর পরিবেশনের ব্যাপ্তি কমিয়ে গণমাধ্যমগুলো মানুষের সেবা করতে পারে।
কেরি বলেন, ‘এ কথা মনে রাখবেন: কোনও দেশই সন্ত্রাসবাদমুক্ত নয়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে পড়াটা খুব সহজ। সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিনে ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৭দিন এবং বছরে ৩৬৫ দিনই তৎপর থাকতে হয়। কিন্তু কেউ যদি একদিনেই চিন্তা করে সন্ত্রাসী হয়ে যাবে এবং আত্মঘাতী হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে তবে সহজেই সে বের হয়ে মানুষকে হত্যা করতে পারে। কিছু গোলমাল তৈরি করতে পারে। সম্ভবত মিডিয়া এসব ঘটনার পুরোপুরি কাভারেজ না দিয়ে আমাদের সহায়তা করতে পারে। কী হচ্ছে তখন তা লোকজন অতোটা জানবে না।’

ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণের কিছু শব্দ এক্ষেত্রে প্রতিধ্বনিত করেছেন কেরি। সেই ভাষণে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন- ‘প্রথমত, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আমাদেরকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এ নিয়ে ওবামার সভাপতিত্বে আয়োজিত কাউন্টারিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রেমিজম সামিট-এ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এ ব্যাপারে বেশ জোরালোভাবে আলোচনা করেছেন। সেটি খুব চমৎকার আলোচনা ছিল। আমি ভেবেছিলাম কিভাবে সন্ত্রাসবাদের মূল কারণগুলো শনাক্ত করা যাবে তা নিয়ে সামষ্টিকভাবে কিছু মন্তব্য আসবে। আমাদেরকে সন্ত্রাসীদের সেফ হ্যাভেনগুলো বাদ দিতে হবে, বিদেশি যোদ্ধাদের ঠেকাতে হবে, সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর প্রপাগান্ডাগুলোকে মিথ্যে বলে প্রমাণ করতে হবে। তবে দিনে ২৪ গণ্টা, সপ্তাহে ৭ দিন ও বছরে ৩৬৫ দিন অবিরত মিডিয়া কাভারেজের কারণে তা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কেননা, সন্ত্রাসীরা বুঝে ফেলেছে, কত উপায়ে মিডিয়াকে ব্যবহার করা যায়।’

/এফইউ/