ভিডিওতে মাদার তেরেসার ‘ঈশ্বরের দূত’ হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ৪ সেপ্টেম্বর ‘ঈশ্বরের দূত’ (সেইন্টহুড) খেতাব পেলেন মাদার তেরেসা। এ সংক্রান্ত সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার ভিডিওটি টুইটারে প্রকাশ করেছে স্কাই নিউজ।  

ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিস ঘোষণা করেন, ভারতের দরিদ্র মানুষের মধ্যে কাজের মধ্যদিয়ে তিনি যে মহান কীর্তি রচনা করেছেন, তারই ফলস্বরূপ মাদার তেরেসাকে ‘ঈশ্বরের দূত’ ঘোষণা করা হলো।

পোপের ঐতিহাসিক ঘোষণার সময় হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে সেইন্ট পিটারস স্কয়ারের উপাসনালয়ে। ওই ঘোষণার পর কলকাতার মিশনারিজ অব চ্যারিটিতেও আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।  

উল্লেখ্য, ক্যাথলিক বিশ্বাস অনুযায়ী কর্মসূত্রে কেউ ‘পবিত্র ব্যক্তি’র স্বীকৃতি পেতে পারেন না। ঐশ্বরিক ক্ষমতার বলেই এই স্বীকৃতি পাওয়া যায়। অলৌকিক ক্ষমতার প্রয়োগে কারও সাফল্যের অন্তত দু’টি ঘটনাকে পোপ স্বীকৃতি দিলে, মৃত্যুর পর তিনি ‘পবিত্র ব্যক্তি’র স্বীকৃতি পান। মাদার তেরেসার ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে। রোমান ক্যাথলিকদের ভাষায় যাকে বলে ‘ক্যানোনাইজেশন’।

১৯৯৮ সালে এক আদিবাসী নারীকে দুরারোগ্য রোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে তোলায় ২০০৩-এ মাদারকে আলৌকিক ক্ষমতার প্রথম স্বীকৃতি দেন তৎকালীন পোপ দ্বিতীয় জন পল। একইভাবে ২০০৮ সালে দুরারোগ্য মস্তিষ্কের অসুখে আক্রান্ত মৃতপ্রায় এক ব্রাজিলিয়ানকে সুস্থ করে তুলেছিলেন মাদার।  ২০১৫ সালে এই ঘটনাটিকেও অলৌকিক বলে স্বীকৃতি দেন পোপ ফ্রান্সিস। মার্চে  সেই স্বীকৃতিতেই সিলমোহর দেন পোপ ফ্রান্সিস। এরমধ্য দিয়ে ‘পবিত্র ব্যক্তি’র স্বীকৃতি পেয়ে যান মাদার তেরেসা। কেবল আনুষ্ঠানিকতাটুকুই বাকি ছিল। এবার তা সম্পন্ন হলো।

ভিডিও:

/এসএ/বিএ/