আইএস আতঙ্কে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান

ইরাকে টহলরত এক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমানমধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য মিসাইল বহনকারী কয়েকটি ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বিমান অভিযানের কমান্ডার মার্টিন স্যামি স্যাম্পসন এমন তথ্য জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ায় চলমান আইএসবিরোধী অভিযানে ব্রিটিশ বিমান যে ঝুঁকিতে রয়েছে তা স্বীকার করেছেন তিনি। নিজেদের যুদ্ধবিমান ঝুঁকিতে থাকার ব্যাপারে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের এটাই প্রথম প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি।
সম্প্রতি একটি সিরিয়ান যুদ্ধবিমান এবং একটি মার্কিন ড্রোনসহ বেশ কয়েকটি বিমান ভূপাতিত করার দাবি করে আইএস। তবে ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, যুক্তরাজ্যের বিমান ভূপাতিত করার চেষ্টা করে সফল হতে পারেনি জঙ্গি সংগঠনটি। স্যামি স্যাম্পসন বলেন, ‘তারা আমাদের বিমানে গুলি করার চেষ্টা করে। যখন তারা এমনটা করতে যায় তখন তারা সামনে চলে আসে। আর যখন তারা সামনে চলে আসে তখন আমরা তাদের ওপর হামলা চালাই।’
জ্বালানি সংগ্রহ করছে এক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান
অভিযান চালাতে গিয়ে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমানকে সবসময় ঝুঁকির মুথে থাকতে হয় এমনটা স্বীকার করে স্যামি বলেন, ‘আকাশের যে অংশ দিয়ে বিমান চলাচল করছে সে অংশে যেকোনওসময় লড়াই হতে পারে। যেকোনও সময় আইএস-এর বুলেট কিংবা মিসাইলের আঘাতে বিমান ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। অভিযান পরিবর্তন করলে তারা ভিন্ন কৌশল প্রয়োগের চেষ্টা করে। অবশ্য বিরোধী জোটের বিমানে হামলা চালানোর কৌশল এখন পর্যন্ত তাদের বোকামি বলেই প্রমাণিত হয়েছে।’

ইরাক যুদ্ধের সময় আইএস জঙ্গিরা শত্রুপক্ষের বিমানের বিরুদ্ধে কাঁধ থেকে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল ব্যবহার করেছে। কিন্তু ২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ায় দখল অভিযান শুরুর পরে আইএস যোদ্ধারা এবং অন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অত্যাধুনিক মিসাইল লুটপাট শুরু করে। ইরাকের সরকারি বাহিনী ও সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বেশ কয়েকটি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে।

মসুলে ইরাকি ও কুর্দি সেনাদের সহায়তার কথা বলে গত জুন থেকে ২শটিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে ব্রিটিশ বিমানবাহিনী। স্যামি স্যাম্পসন বলেন, ভূমি থেকে ছোড়া গোলার আঘাতে এখন পর্যন্ত কোনও ব্রিটিশ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি মনে করতে পারছেন না। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, ইন্ডিপেনডেন্ট

/এফইউ/বিএ/