হিলারির নির্বাচনি প্রচার শিবিরের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত ইমেইল হ্যাকের পর সেখানে হিলারির এমন বক্তব্য পাওয়া গেছে। ওই ইমেইলের বিষয়ে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরে যোগাযোগ করেন সংবাদকর্মীরা। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ পররাষ্ট্র দফতর। তবে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কূটনৈতিক বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা তাদের নীতির মধ্যে পড়ে না।
ফাঁস হওয়া ইমেইল অনুযায়ী, হিলারি বলেছেন, ‘চীনকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, তুমি তাদের (উত্তর কোরিয়া) নিয়ন্ত্রণ কর। আর সেটা যদি না হয় তাহলে আমরা তাদের থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
গতবছর নির্বাচনি প্রচারণায়ও চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য চুরির অভিযোগ আনেন হিলারি। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যে এক নির্বাচনি প্রচারাভিযানে হিলারি ক্লিনটন অভিযোগ করেন, তার দেশের বাণিজ্যিক ও রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য চুরি করছে চীন।
হিলারি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কাজে নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের কাছ থেকে গোপন তথ্য চুরি করছে চীন। এভাবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ সরকারি তথ্য সংগ্রহ করে সুবিধা নিতে চাইছে।
সাবেক এ মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিলারি আরও বলেন, তিনি চীনের শান্তিপূর্ণ উত্থান দেখতে চান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে ‘সম্পূর্ণ সজাগ’ থাকতে হবে। চীনের সামরিক বাহিনী দ্রুত শক্তিশালী হচ্ছে। তবে দেশটির কিছু কর্মকাণ্ডের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ দেশগুলো হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে।
সরকারি তথ্য-উপাত্ত চুরির ঘটনায় চীনের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বহু কম্পিউটারে অনধিকার প্রবেশ (হ্যাক) করে প্রায় ৪০ লাখ কর্মীর তথ্য চুরি করা হয়েছে।
/এমপি/