ছবিতে চেক রিপাবলিকের অস্থি চ্যাপেল

izarbeltza-640x471

চেক রিপাবলিকের সেডলেসের অল সেইন্টস সিমেট্রি চার্চের ঠিক নিচেই অবস্থিত একটি পুরনো ছোট রোমান ক্যাথলিক চ্যাপেল। এই চ্যাপেলটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ব্যবহৃত হয় অস্থি সংরক্ষণাগার হিসেবে।

Sedlec_Ossuary_Entrance-427x640

এই চ্যাপেলের সজ্জায় ব্যবহৃত হয়েছে মৃত মানুষের হাড়, কঙ্কাল ও মাথার খুলি। ধারণা করা হয় এখানে রয়েছে ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার মানুষের কঙ্কাল। প্রতি বছর গড়ে ২ লক্ষ পর্যটক এই চ্যাপেলটি দেখতে আসেন।

Schwarzenberg-coat-of-arms-made-with-bones-425x640

এই অস্থি চ্যাপেলের ইতিহাস বলে, ১২৭৮ সালে সেডলেসের মঠাধ্যক্ষ হেনরি রাজা দ্বিতীয় ওটাকারের সঙ্গে দেখা করতে পবিত্র ভূমি বোহেমিয়া ভ্রমণ করেন ও সেখান থেকে এক মুঠো মাটি নিয়ে আসেন। তার পর থেকেই সেন্ট্রাল ইউরোপে কবরস্থান হিসেবে জনপ্রিয় হতে শুরু করে সেডলেস।

Coins-left-as-offering-480x640

এরপর ১৪শ শতকের ব্ল্যাক ডেথ বা প্লেগের মহামারীর সময় এবং ১৫শ শতকের শুরুতে হুসাইট যুদ্ধে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হলে এই কবরস্থানটির পরিসর বৃদ্ধি করা হয়।

Dileep-Kaluaratchie-640x427

এই কবরস্থানের কেন্দ্রে ১৪০০ সালের শুরুতে একটি গথিক চার্চ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ কাজ চলার সময় মাটির তলা থেকে উঠে আসে বিপুল পরিমাণ অস্থি।এ ছাড়াও নতুন কবরের জন্য জায়গা করার জন্যও তোলা হয় অনেক কঙ্কাল।

foilman-640x480
 

বর্তমান চ্যাপেলটি তখন থেকেই অস্থি সংরক্ষণ করার কাজে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।এরপর ১৫১১ সালে এক সাধুকে এই অস্থিগুলো গুছিয়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Signature-of-F.-Rint-written-with-bones-346x640

তারপরও অস্থির সংরক্ষণাগারটি ছিলো মানুষের চোখের আড়ালেই। কিন্তু ১৭০৩ থেকে ১৭১০ সাল পর্যন্ত সময় নিয়ে এই চ্যাপেলটিকে একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত করেন এক সূত্রধর। ফ্রান্টিসেক রিন্ট নামের ওই কাঠের কারিগর এমনকি নিজের নামের স্বাক্ষরও রেখেছেন মানুষের হাড় দিয়ে।  

সূত্র: ভিনটেজ নিউজ

/ইউআর/