বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে সংঘর্ষরত সব পক্ষের অনুমোদন পাওয়ার পরই এ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। পরে এর মেয়াদ আরও বাড়ানো সম্ভব। জাতিসংঘের প্রত্যাশা, যুদ্ধবিরতির ফলে ইয়েমেনি জনগণের রক্তপাত বন্ধ হবে। দেশটিতে বিস্তৃত মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
এর আগে রবিবার ইয়েমেনে সংঘর্ষরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে অবিলম্বে দেশটিতে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জাতিসংঘ। লন্ডনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও শেইখ আহমেদের মধ্যে এক বৈঠকের পর ওই আহ্বান জানানো হয়েছিল।
এরপর ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদি ও তার পক্ষ হয়ে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান পরিচালনাকারী সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা জানান।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হুথি আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা রাজি থাকলে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটও হামলা বন্ধ রাখতে প্রস্তুত রয়েছে।
২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব। শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের দমন করে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হাদিকে ফের ক্ষমতায় বসাতে চায় রিয়াদ। ইয়েমেনে গত দেড় বছরের সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় নিহত হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠান বা জানাজা’র মতো আয়োজনেও সৌদি জোটের বিমান হামলায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
/এমপি/