ইরাকি বাহিনীর দাবি

আইএস-এর দখলমুক্ত হলো মসুলের ২০টি গ্রাম

২০টি গ্রাম দখলমুক্ত করার দাবি করেছে ইরাকি বাহিনীজঙ্গি সংগঠন আইএস-এর হাত থেকে ইরাকের মসুল শহর পুনরুদ্ধারের জন্য দেশটির সরকারি বাহিনীর চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত ২০টি গ্রাম দখলমুক্ত করার দাবি করা হয়েছে। ইরাকের সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুন মাসে জঙ্গিদের হাতে মসুল নগরীর পতন হয়। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই নগরী আইএসের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য গত কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি চলছিল। সোমবার ভোরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে আনুষ্ঠানিকভাবে মসুল পুনরুদ্ধার অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি। তিনি বলেন, ‘মসুলমুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। আজ আমি দায়েশের (আইএস) সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ থেকে আপনাদের মুক্ত করার অভিযান শুরু করার কথা ঘোষণা করছি। অভিযানে নেতৃত্ব দেবে সাহসী ইরাকি সেনাবাহিনী ও জাতীয় পুলিশ।’
এরপর মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে মসুলে আইএস ঘাঁটির দিকে এগিয়ে যায় কুর্দি ও সরকারি বাহিনী। ইরাকি সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সোমবারের অভিযান শুরুর পর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ২০টি গ্রাম পুনর্দখল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কুর্দি বাহিনীর পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, মসুলের ৩০ কিলোমিটার পূর্ব পর্যন্ত যাওয়ার পর আপাতত আর অগ্রসর হচ্ছে না তারা। তবে পরবর্তী পর্যায়ের অভিযান শুরুর জন্য ইরাকি বাহিনী এগিয়ে যাচ্ছে।
কুর্দি পেশমারগা বাহিনীর কর্নেল খাথার শেখান দাবি করেছেন, তার বাহিনী এরইমধ্যে তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে, তাই তারা এখন খাজির এলাকায় অবস্থান করছেন।

ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল আইএসের দখলে যায় ২০১৪ সালে। শহরটির জনসংখ্যা ২৫ লাখ।

আইএস প্রধান, আবু বকর আল বাগদাদি তার তথাকথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার জন্য মসুলকেই বেছে নেন। এ কারণে মসুল পুনরুদ্ধারের একটি প্রতীকী মূল্যও রয়েছে বলে মনে করছে পেন্টাগন।

কয়েক মাসের দীর্ঘ পরিকল্পনার পর ইরাকি, কুর্দি এবং সুন্নি বিভিন্ন গোত্রের প্রায় ৩০ হাজার যোদ্ধা ইরাকে আইএসের সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি মসুলে অভিযান শুরু করে। ধারণা করা হয় শহরটিতে এখনো চার হাজার থেকে আট হাজার আইএস যোদ্ধা অবশিষ্ট রয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে,তারা মসুলে যুদ্ধের কারণে ঘরহারা মানুষদের জন্য আরও আশ্রয়শিবির তৈরি করছে। এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে প্রায় চার লাখ মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার মত তাঁবু ও খাদ্য রয়েছে।

/এফইউ/