মসুলে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে আইএস

মসুল যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ইরাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একটি দল এই আশঙ্কা করছে।

মসুল অভিযানে ইরাকি বাহিনী

এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই বিশেষজ্ঞ দলটি বিভিন্ন সময়ে আইএস-এর বিস্ফোরিত বোমার পরীক্ষা করে থাকে। তাতে দেখা গেছে, রাসায়নিক বোমা হামলা চালালেও মারাত্মক আঘাত করার মতো সক্ষমতা আইএস-এর নেই।

এর আগে ৫ অক্টোবর একটি ঘটনায় স্থানীয় বিদ্রোহীদের ওপর আইএস সালফার দিয়ে তৈরি বোমা হামলা চালিয়েছিল বলে বিশেষজ্ঞ দলটি জানিয়েছে।

অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স-কে জানিয়েছেন, ‘আইএস-এর দায়িত্বহীন আচরণ এবং আন্তর্জাতিক মানের তোয়াক্কা না করার ফলে, তাদের জন্য রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করাটা মোটেও আকস্মিক ঘটনা নয়।’

তবে রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরিতে আইএস এখনও তেমন কোনও সাফল্য পায়নি বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা। এখনও তারা কেবল অল্প মাত্রার রাসায়নিক অস্ত্র বানাতেই সক্ষম।

এদিকে, মসুল অভিযান শুরুর পর থেকে স্থানীয় জনগণকে মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে আইএস। জনগণকে মসুল থেকে বের হতেও দিচ্ছে না তারা।  

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুনে আইএস জঙ্গিরা মসুল নগরী দখল করে নেয়। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই নগরীর জনসংখ্যা ২৫ লাখ।

মসুল শহরে আইএস

সোমবার ভোরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে আনুষ্ঠানিকভাবে মসুল পুনরুদ্ধার অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার সহযোগিতা নিয়ে সোমবার থেকে শুরু হওয়া ওই অভিযান এরইমধ্যে তৃতীয় দিনে পা দিয়েছে। 

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মসুলের সাধারণ মানুষ যখন শহর ছাড়ার চেষ্টা করছে, তখন আইএস সদস্যরা তাদের বাধা দিচ্ছে। এলাকা ছাড়তে চাওয়া লোকজনকে তারা এমন সব ভবনে জড়ো হতে বলছে যেগুলো সম্ভাব্য বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু।

মসুল অভিযানে ইরাকি সেনাবাহিনীর ১৮ হাজার সদস্য এবং কুর্দি পেশমেরগা বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য অংশ নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা সদস্যও তাদের সহযোগিতার জন্য রয়েছেন।

সূত্র: রয়টার্স।

/এসএ/