আলেপ্পোর কুর্দি অবস্থানে তুর্কি বিমান হামলা, ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা

সিরিয়ার আলেপ্পো নগরীতে কুর্দি অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। কুর্দি কর্তৃপক্ষ এবং তুর্কি সেনাবাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হামলায় ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তুর্কি বিমান হামলা

বুধবার আলেপ্পোর উত্তরে আল-হাসিয়া, উম আল-কুরা এবং উম হোশ গ্রামে বিমান হামলা চালায় তুরস্ক। এই গ্রামগুলো কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর কাছ থেকে দখল করেছিল।

কুর্দি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তুর্কি যুদ্ধবিমান থেকে অন্তত ২০ বার হামলা চালানো হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তুর্কি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আলেপ্পোতে কুর্দি বিদ্রোহীদের ওপর ২৬ বার বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে ১৬০ থেকে ২০০ জন বিদ্রোহী নিহত হয়।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সবচেয়ে বড় মদদদাতা তুরস্ক চলতি বছরের আগস্টে সরাসরি সিরীয় যুদ্ধে প্রবেশ করে। বিদ্রোহী গ্রুপ ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ)-র সহযোগিতায় সেনা ও বিমানবাহিনীকে ব্যবহার করছে তুরস্ক। তখন বিবৃতি দিয়েই বলা হয়, তুর্কি সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখতে কুর্দি বিদ্রোহী ও আইএস-এর বিরুদ্ধে তারা অভিযান পরিচালনা করবে।

উল্লেখ্য, কুর্দিদের সঙ্গে তুরস্কের সাংঘর্ষিক সম্পর্ক নতুন কিছু নয়, তার উপাদান ঐতিহাসিক। আর এজন্যই সিরিয়ায় এসডিএফ-কে শক্তিশালী অবস্থান নিতে বাধা দিচ্ছে তুরস্ক। তুরস্কের দাবি, এসডিএফ-এর অন্যতম সংগঠন ওয়াইপিজি হলো সিরীয় কুর্দিদের দ্বারা গঠিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-র অংশ।

তুর্কি সহযোগিতায় এফএসএ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আল-বাব শহরটি অবরুদ্ধ রেখেছে। এই শহরটি উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় আইএস-এর একটি শক্তিশালী ঘাঁটি বলে পরিচিত। সেখানে এসডিএফ-এর দখলে থাকা কয়েকটি গ্রামও এফএসএ দখল করে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র: রয়টার্স।

/এসএ/