‘পাথর নিক্ষেপকারী’ ফিলিস্তিনি কিশোরকে হত্যা করলো ইসরায়েলি বাহিনী

গত বছরের অক্টোবর থেকে ২৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেদখলকৃত পশ্চিমতীরে আবারও ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে। টহলরত সেনা সদস্যদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নিহতের নাম খালেদ বাহার বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তার বয়স ১৫ বছর বলেও জানানো হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হেবরন শহরের বেইত উম্মার এলাকার কাছে ঘটনাটি ঘটে। ইসরায়েলি বাহিনীর এক মুখপাত্র ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘সেনা সদস্যদের দিকে পাথর ছুড়ে মারা হয়েছিল, তাতে এক সেনা হালকা আহত হন।’ সেনা সদস্যরা প্রথমে ওই সতর্কতা গুলি ছুড়েছিল এবং পরে সন্দেহভাজন সে কিশোরকে গুলি করে আর তাতে তার মৃত্যু হয় বলেও দাবি করেন তিনি।
১৯৯০ এর দশকের শুরু থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় শান্তি আলোচনা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা চায় পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েল। অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
১৯৬৭ সালের পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ১শরও বেশি বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এ বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হলেও ইসরায়েল তা মানতে চায় না। এএফপির হিসেব অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ২৩৫ ফিলিস্তিনি ও ৩৬ ইসরায়েলি, ২ মার্কিন, এক ইরিত্রিয়ান, এক সুদানি এবং এক জর্ডানির প্রাণহানি হয়েছে।

/এফইউ/