নিরাপত্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সকালে কিরকুকের বেশ কয়েকটি ভবন ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় সদস্য নিহত হন। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা দুই ইরানি নাগরিককেও হত্যা করে জঙ্গিরা। পরে বেশ কয়েকটি ভবন থেকে জঙ্গিদের হটিয়ে দেয় ইরাকি বাহিনী। ইরাকি বাহিনীর গুলিতে কিংবা আত্মঘাতী হামলা চালাতে গিয়ে অন্তত আট জঙ্গি নিহত হয়। এখনও একটি হোটেল ও একটি মসজিদ থেকে আইএসকে হটাতে গোলাগুলি চলছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারা বৃহস্পতিবার দিনগত রাত একটা থেকেই গোলাগুলির শব্দ শুনছেন।
আল জাজিরার প্রতিনিধি বলেন, ‘তারা (আইএস) পুলিশ ভবনগুলোর দিকে অগ্রসর হতে হতে হামলা চালাতে থাকে। এগুলোর একটি পুরনো পুলিশ ভবন এবং একটি সরকারি ভবন। আইএস সদস্যদেরকে এখনও কিরকুকের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যাচ্ছে।’
রয়টার্স জানায়, এক অনলাইন বিবৃতিতে আইএস-এর পক্ষ থেকে হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কিরকুকে কারফিউ জারি করেছে। পরিশোধিত তেল উৎপাদন কেন্দ্রগুলো হামলার শিকার হয়নি এবং শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, আইএস-এর আধিপত্যে কিরকুক থেকে ইরাকি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ২০১৪ সালে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয় কুর্দি পেশমারগা বাহিনী। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সহযোগিতা নিয়ে ইরাকি বাহিনী ও কুর্দিরা মসুল শহর পুনরুদ্ধারে অভিযান শুরু করার চারদিনের মাথায় কিরকুকে এ হামলা হলো।
/এফইউ/