ফিলিপাইনে টাইফুন হাইমা’র আঘাতে নিহত ১৩

nonameফিলিপাইনে শক্তিশালী টাইফুন হাইমা’র আঘাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে আটজনই করডিলেরা অঞ্চলের। শুক্রবার জাতীয় দুর্যোগ-ঝুঁকি প্রশমন ও ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের প্রধান রিকার্ডো জালাদ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

২০১৩ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘হাইয়ানের’ আঘাতে ফিলিপাইনে অন্তত ছয় হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। হাইয়ানের’ আঘাতের পর গত তিন বছরের মধ্যে এটিই ফিলিপাইনের সবচেয়ে শক্তিশালী এই সামুদ্রিক ঝড়। এর তাণ্ডবে প্লাবিত হয়েছে দেশটির বিস্তীর্ণ শস্য ক্ষেত। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার একর কৃষিজমি বিনষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণ ধান ও ভুট্টা ক্ষেত। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার হেক্টর জমির ধান প্লাবিত হয়েছে।

ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালানোর পর ঝড়টি এখন হংকংয়ের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। সেখানে এটি ১০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে।

noname

ফিলিপাইনের স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে দেশটির উত্তরে কাগায়ান প্রদেশে আঘাত হানে হাইমা। প্রসান্ত মহাসাগরমুখী উপকূলীয় শহরগুলোতে ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে আঘাত হানে হাইমা। তীব্র ঝড়ো বাতাসের বেগ সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩১৫ কিলোমিটারে পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। রাতে বিরাট পর্বতমালায় আছড়ে পড়ার পর দূর্বল হতে থাকে হাইমা।

রাতভর হাইমা’র তাণ্ডবের পর দিনের আলোতে লুজন দ্বীপে ব্যাপক ধংসযজ্ঞের চিত্র দৃশ্যমান হয়। উত্তরের শহর ইলাগান থেকে ভিলামোর বিসায়া নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক জানান, ‘যতদূর চোখ যায় ধান আর ফসলের ক্ষেত সব সমান হয়ে গেছে। অনেক বাড়িঘর ধংস হয়ে গেছে।’

ঘূর্ণিঝড় হাইমা আক্রান্ত এলাকার বাড়িঘর, বিদ্যালয় ভবন তছনছ হয়েছে। সমূলে উৎপাটিত হয়েছে বড় বড় গাছ। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।

/এমপি/