ইরাকে আইএস-নিয়ন্ত্রিত বাশিকা এলাকায় কুর্দি বাহিনীর অভিযান শুরু

বাশিকায় তুরস্কের ৫০০ সেনা অবস্থান করছেইরাকের মসুল নগরীর কাছে বাশিকা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের পেশমারগা সেনারা অভিযান শুরু করেছে। ইরাক থেকে আইএস-কে হটানোর জন্য বড় ধরনের অভিযানের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। পেশমারগা কমান্ড থেকে পোস্ট করা এক টুইটকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা খবরটি নিশ্চিত করেছে।
পেশমারগা কমান্ডের ওই টুইটে বলা হয়, ‘ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে পেশমারগা বাহিনী বাশিকার দুই দিক থেকে অভিযান শুরু করেছে।’
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাশিকার কাছের একটি ক্যাম্পে তুরস্কের ৫০০ সেনাও অবস্থান নিয়েছে। তুরস্ক সরাসরিই এ অভিযানে অংশ নিতে চায়। তবে ইরাক সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং বাশিকা থেকে তুর্কি সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার বাগদাদে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যামটন কার্টারের সঙ্গে এক বৈঠকের পর ইরাকি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি তুরস্ক অভিযানে অংশ নিতে চায়। আমি তাদেরকে এর জন্য ধন্যবাদ জানাব। তবে এটা ইরাকিরাই সামলাতে পারবে।’
এর আগে অ্যাশটন কার্টার বলেছিলেন অভিযানে তুর্কি বাহিনী অংশ নেবে বলে তার দৃঢ়বিশ্বাস রয়েছে।
এদিকে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মন্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। ইরাকের বর্তমান পরিস্থিতিকে আঞ্চলিক উদ্বেগ উল্লেখ করে ইরাকে সেনা মোতায়েন অব্যাহত রাখার ঘোষণার দিয়েছেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী। আর শিয়া যোদ্ধাদের ওপর নির্ভর করে সুন্নি অধ্যুষিত মসুল শহরে অভিযান চালানো হলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুন মাসে জঙ্গিদের হাতে মসুল নগরীর পতন হয়। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই নগরী আইএসের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য গত কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি চলছিল। সোমবার (১৭ অক্টোবর) ভোরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে আনুষ্ঠানিকভাবে মসুল পুনরুদ্ধার অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি। মসুল অভিযানে ইরাকি সেনাবাহিনীর ১৮ হাজার সদস্য এবং কুর্দি পেশমেরগা বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য অংশ নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা সদস্যও তাদের সহযোগিতার জন্য এখন ইরাকে অবস্থান করছেন। এদিকে এ অভিযান শুরুর পর প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার এক মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইরাকের উত্তরাঞ্চলে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা হামলায় আহত হওয়ার পর মারা যান তিনি। তবে ঠিক কোন জায়গায় এ ঘটনা ঘটেছে তা জানানো হয়নি।

/এফইউ/