আফগান যুদ্ধের সেই 'মোনালিসা' পাকিস্তানে গ্রেফতার

nonameন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সাময়িকীতে প্রচ্ছদ হয়েছিলেন তিনি। পরিণত হয়েছিলেন আফগান যুদ্ধের এক প্রতিকে। ধূসর সবুজ চোখের এখনকার এই নারী আফগান যুদ্ধের সময় ছিলেন বালিকা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের এক প্রচ্ছদে স্থান পেয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন আফগান যুদ্ধের মোনালিসা। সেই ‘আফগান বালিকা’ শরবত বিবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার ‘আফগান মোনালিসা’ বা ‘আফগান গার্ল’ নামে খ্যাত শরবত বিবিকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। পরিচয়পত্রে তথ্য জালিয়াতির দায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শরবত বিবির কাছে একইসঙ্গে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের দ্বৈত নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। দুটি পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তথ্য জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত একজন সরকারি কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত দফতর ‘এনএডিআরএ’ শরবত বিবি ও তার দুই সন্তানের পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

শরবত বিবি’র সন্তানদের নিয়েও জটিলতা রয়েছে। সরকারি ফর্মের বিস্তারিত তথ্যে বলা হয়েছিল, তিনি দুই পুত্র সন্তানের মা। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, শরবত বিবি দুই কন্যা এবং দুই বছরের এক পুত্র সন্তানের জননী। স্থানীয়রা জানান, তার পুত্র হিসেবে যে দুইজনকে দেখানো হয়েছে তারা আদতে তার পুত্র নয়।noname 
এক সাধারণ আফগান শরণার্থী ছিলেন এই আফগান নারী। সোভিয়েত আমলে দেশ ছেড়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালের ঘটনা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের চিত্রগ্রাহক স্টিভ ম্যাকারি পেশোয়ারের আফগান শরণার্থী শিবিরে ধূসর নীল চোখের এক আফগান বালিকার ছবি তেলেন। ১৯৮৫ সালে সেই ছবি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক তাদের প্রচ্ছদে সেই ছবি প্রকাশ করে। ১২ বছরের অপরিচিত শরবত বিবিকে ঘিরে আলোড়ন ছড়ায়। নাম দেওয়া হয় আফগান গার্ল বা আফগান মোনালিসা। আন্তর্জাতিক শরণার্থীদের আইকন হিসেবে চিহ্নিত হন শরবত বিবি।
পাকিস্তানের পেশোয়ারে থাকতেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে বিয়ে করেন। পরে ১৯৯২ সালে আবার আফগানিস্তানে ফিরে যান। সূত্র: ডন।
/এমপি/বিএ/