পাকিস্তানের ৪টি আউটপোস্ট ধ্বংসের দাবি ভারতের

কাশ্মির সীমান্তে পাকিস্তান রেঞ্জার্স-এর ৪টি আউটপোস্ট ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে ভারতের সেনাবাহিনী।

অভিযান চালানোর সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী

ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘কুপওয়ারা জেলার কেরান সেক্টরের সীমান্তের ওপারে অবস্থিত ৪টি আউটপোস্ট ধ্বংস করা হয়েছে।’ সেনাবাহিনীর নর্দার্ন কমান্ডের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।  

ভারতের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পর থেকে বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় পোস্ট লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি বাহিনী।

সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার কেরান সেক্টরে গুলি চালায় পাকিস্তানি রেঞ্জার্স। এতে আহত হয়েছেন এক জওয়ান ও বেসামরিক নারী। এর জবাবে ভারতীয় বাহিনী ধ্বংস করে দেয় চারটি পাকিস্তানি আউটপোস্ট।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জম্মু-কাশ্মিরের কুপওয়ারা জেলায় সীমান্তের মাছিল সেক্টরে শিখ রেজিমেন্টের মনজিৎ সিং নামের এক সেনা সদস্যকে হত্যার পর শিরশ্ছেদ ও শরীর বিকৃত করে অজ্ঞাত ‘জঙ্গিরা’। এর বিপরীতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

nc

এক সেনা কর্মকর্তার দাবি, ওই ‘বর্বর’ হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই ওই চারটি পাকিস্তানি আউটপোস্ট ধ্বংস করা হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আউটপোস্ট ধ্বংসের ঘটনাকে ‘প্রতিশোধ’ বলে উল্লেখ করা হয়নি।

ওই ভারতীয় সৈনিকের হত্যাকাণ্ডের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, সীমান্ত পার হয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে প্রবেশ করে ওই সৈনিককে হত্যা করে পালানোর সময় এক ‘জঙ্গি’ নিহত হয়।

এদিকে, অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গভীর রাত থেকে উভয় পক্ষে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয়। ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) জানিয়েছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের রণবীর সিং পুরা (আরএস পুরা) সেক্টরে স্থানীয় সময় রাত ৩টা পর্যন্ত চলে দু’পক্ষের গোলাগুলি। অন্যদিকে হীরানগর ও সাম্বা সেক্টরে গোলাগুলির কথা জানা গেছে। তবে এই সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি ভারতের উরি সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় ১৯ সেনা সদস্য হত্যা এবং ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর চালানো ‘সার্জিক্যাল স্টাইকস’-এর দাবির পর থেকে দেশ দুটি কার্যত যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু।

/এসএ/