ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টি শহরে

ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তা বৃহস্পতিবার আরও জোরালো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টি শহরে এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ট্রাম্পের মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ চলছে। এরইমধ্যে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া শহরে প্রায় ৪০টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ২শরও বেশি ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভকারী ম্যানহাটনের ইউনিয়ন স্কয়ার এলাকা থেকে ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্ক এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। ‘ট্রাম্প ও পেন্সের বোধশক্তি নাই’ সহ এমন আরও অনেক স্লোগানসম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করতে থাকেন তারা।
ট্রাম্পের মালিকানাধীন ভবন ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ করেছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। এরমধ্যে হিলারির সমর্থক এবং পপ তারকা লেডি গাগাও ছিলেন।
অকল্যান্ড পুলিশের অভিযোগ, ‘বুধবার সন্ধ্যা থেকে একটি বড় দল কয়েকটি ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বেশ কিছু জায়গায় ভাঙচুর শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকালে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রায় ৪০টি জায়গায় লাগানো আগুন নেভান জরুরি কর্মীরা। বিশৃঙ্খলা তৈরি, পুলিশ কর্মকর্তাদের হয়রানি করা, বেআইনি কর্মকাণ্ড সংঘটিত করা ও আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অভিযোগে অন্তত ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। বুধবার বার্কেলি হাইস্কুলের ১৫০০ শিক্ষার্থী ক্লাস থেকে বের হয়ে আসেন। সান ফ্রান্সিসকোতে ১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী স্কুল থেকে বের হয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়।   

মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের খবর প্রকাশের পরপরই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে। বিভিন্ন স্থানে ‘নট মাই প্রেসিডেন্ট’, ‘টাইম টু রিভল্ট’, ‘ফ্যাসিস্ট ট্রাম্প’, ‘রেজিস্ট রেসিজম’, ‘নো ট্রাম্প’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষজন বিক্ষোভে নেমেছেন, যা সাম্প্রতিক মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন। মঙ্গলবার শুরু হওয়া বিক্ষোভ বুধবার সকালে আরও জোরালো হয়ে উঠে। এমনকি হোয়াইট হাউসের সামনেও বিক্ষোভ করেন ট্রাম্পবিরোধীরা। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়। ওয়াশিংটন ডিসিসহ অন্য অঙ্গরাজ্যতেও এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ওয়েস্ট কোস্ট। নিউ ইয়র্ক, বোস্টন, অস্টিন, সিয়াটল, ওকল্যান্ড,কালিফ, ফিলাডেলফিয়াসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সে বিক্ষোভ জোরালো হয়ে ২৫টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।

/এফইউ/