ফুটেজে দেখা যায়, তিনটি গরুর দুইটি প্রাপ্তবয়স্ক। অন্যটি বাছুর। ভূমিধসে বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডে আটকা পড়েছে তারা। এর পাশেই তৈরি হয়েছে গভীর খাদ। এই গরুগুলোর মালিক কে বা তাদের উদ্ধারে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডে এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে নিহত হন অন্তত ১৮৫ জন। এখনও সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশটি। তবে সোমবারের ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল এর চেয়ে ঢের কম।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডে মানুষের চেয়ে গবাদি পশুর সংখ্যা বেশি। ৪৭ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে প্রায় এক কোটি গবাদি পশু রয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পের পর সাউথ আইল্যান্ডের অন্যতম দীর্ঘ ক্ল্যারেন্স নদীতে দেয়া বাঁধ ভেঙে পড়েছে। নদীর পানি উপচে পড়ছে তীরবর্তী অঞ্চলে। স্থানীয় অধিবাসীদের তাৎক্ষণিকভাবে উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর শতাধিক আফটার শকের আঘাতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়ে গেছে। পানির সরবরাহ লাইনও কাটা পড়েছে। নিউজিল্যান্ডের সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত ভূমিকম্প মনিটরিং প্রকল্প জিওনেট জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহজুড়ে আফটার শক চলতে থাকবে।
নিউজিল্যান্ডের পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। একইসঙ্গে উদ্ধার অভিযানও চলছে। কায়কুরা দ্বীপে ধসে পড়া একটি বাড়ি থেকে শতবর্ষী এক নারী ও তার পুত্রবধূকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শতবর্ষী নারীর ছেলে নিহত হয়েছেন। মাউন্ট লাইফোর্ডে নিহত হয়েছেন আরেক নারী। ক্রাইস্টচার্চ ও আশেপাশের শহরগুলোতে অনেক স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। পর্যটনের জন্য সুপরিচিত কায়কুরা শহরের প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ভূমিধ্বসের কারণে। শহরটিতে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন কাটা পড়েছে। মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই। সামরিক বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস হেলিকপ্টারে করে শহরগুলোতে টহল দিচ্ছে এবং উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কি বেশকিছু দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
/এমপি/