হুথিদের সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে রাজি নন ইয়েমেনের জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকার

ইয়েমেনের জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী হুথিদের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি চুক্তি করবে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল-মালেক আল-মেখলাফি

ইয়েমেনের কয়েকটি অঞ্চলে হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয় মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর)। বুধবার পর্যন্ত এ সংঘর্ষে অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি জানায়, সৌদি আরব সীমান্তঘেঁষে উত্তর-পশ্চিমের কয়েকটি এলাকায় প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মনসুর হাদীর অনুগত সরকারি বাহিনীর সঙ্গে ইরানের সমর্থনপুষ্ট শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের ব্যাপক সংঘর্ষে সরকারি বাহিনীর ১৫ জন ও বিদ্রোহী বাহিনীর ২৩ জন নিহত হন। কয়েকটি এলাকা পুনর্দখলের জন্য সরকারি বাহিনী অভিযানে গেলে এ সংঘর্ষ বাঁধে।

১৭ নভেম্বর উভয় পক্ষ সাময়িক অস্ত্র সংবরণ করে। সরকারের পক্ষ থেকে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু পরে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কোনও অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়নি, তবে সাময়িক সময়ের জন্য যুদ্ধের মাঝেই ওই বিরতি ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণা কিছুই নয়।’  

পরে এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় ইয়েমেনের জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল-মালেক আল-মেখলাফি জানান, তার সরকার হুথিদের সঙ্গে কোনও অস্ত্রবিরতি চুক্তি করতে রাজি নয়।

হুথি বিদ্রোহীদের একাংশ

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা-কে তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল একটা ঘোষণা দিয়েছিলেম, যার কোনও মূল্য নেই। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে হুথিদের চুক্তি হয়েছে। আমরা ওই অস্ত্রবিরতি চুক্তিকে বাতিল করছি। কারণ, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্বীকৃত নয়।

উল্লেখ্য, গত বছর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের শিয়া হুথি বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী সানা সহ উত্তরাঞ্চলের একটা বড় অংশ দখল করে নেয়। তাদের দমনে ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এই হামলার মাধ্যমে সৌদি সরকার ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদিকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল ও হুথি বিদ্রোহীদের নির্মূল করতে চায়। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতি সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

সূত্র: আলজাজিরা।

/এসএ/