মিয়ানমার সীমান্তে চীনের সর্বোচ্চ সতর্কতা

মিয়ানমার-চীন সীমান্তে উত্তেজনা চলছেচীন সংলগ্ন মিয়ানমার সীমান্তে কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠনের সঙ্গে সেনা সদস্যদের সংঘর্ষের পর সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রেখেছে চীন। পাশাপাশি মিয়ানমারের সংঘাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা কয়েকজন মিয়ানমারের নাগরিককে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে চীনা প্রতিরক্ষা দফতর। তবে কতসংখ্যক লোককে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে জানানো হয়নি।
রবিবার মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে চীন সংলগ্ন মিয়ানমার সীমান্তে কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের খবর।আলাদা নামের এই সংগঠনগুলো প্রত্যেকেই স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন চালিয়ে আসছে। বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা  এপিকে জানায়, স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার জাতিগোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র সংগঠন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (আরাকান আর্মি) তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর ওই সংঘর্ষ হয়। একইভাবে চীনা বার্তা সংস্থা জানায় বিদ্রোহীদের মধ্যে কাচিন ইনডিপেন্ডেন্স আর্মি, এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স আর্মির যোদ্ধারা ছিল। সংঘর্ষে অন্তত দুই জনের প্রাণহানির কথা জানায় থ্যাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট।
ঘটনার পর থেকেই চীন-মিয়ানমার সীমান্তেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। রবিবার (২০ নভেম্বর) চীন সংলগ্ন মিয়ানমার সীমান্তে কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠনের সঙ্গে সেনা সদস্যদের সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রেখেছে চীন। এ নিয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চীনের সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত চীনা নাগরিকদের জানমালের সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মিয়ানমারের শান রাজ্যে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘাতের কারণে হাজার হাজার মানুষ ঘরহারা হয়েছে। এ রাজ্যে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বসবাস যারা চীন ও থাইল্যান্ড সীমান্তে তৎপরতা চালিয়ে থাকে। সংঘাত এড়াতে মিয়ানমারের যেসব নাগরিক সীমান্ত পার হয়ে চীনে প্রবেশ করছে তাদের কিছুসংখ্যককে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। তবে আশ্রিতদের সংখ্যা কত তা প্রকাশ করা হয়নি। সূত্র: হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইট, রয়টার্স

/এফইউ/বিএ/