কাবুলের শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী হামলা, নিহত অন্তত ২৭





nonameআবারও আত্মঘাতী বোমা হামলায় কেঁপে উঠলো আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। এবার সেখানকার এক শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে। বাকির উল উলুম নামের ওই মসজিদে পরিচালিত হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫ জন। ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার না করলেও সন্দেহের তালিকায় রয়েছে তালেবান।



আফগান স্বরাষ্ট্র মন্র্ ণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই মসজিদে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
কাবুল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একজন কর্মকর্তা ফারিদুন ওবার্ডি ২৭ জন নিহত এবং ৩৫ জনের আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ। তবে এটি তালেবানের হামলা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৫ শতাংশ শিয়া মুসলিম। এর আগে জুলাইতে কাবুলে শিয়াদের এক বিক্ষোভ সমাবেশে হামলায় ৮০ জন নিহত হন, যার দায় স্বীকার করেছিল মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট)
এরআগে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় মার্কিন বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে তালেবান। বিস্ফোরণে অন্তত ৪ জন নিহত এবং আরও ১৪ জন আহত হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা তাদের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানায়, সামরিক জোট ন্যাটো আফগানিস্তানে সমন্বিত অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দেওয়ার দুই বছর পর ধারাবাহিক বিস্ফোরণের এইসব ঘটনা সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভয়াবহ দুর্বলতাকেই নির্দেশ করে। আফগানিস্তানে এখনও ১০,০০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। এদের একটা বড় অংশ রয়েছে বাগরামের বিমানঘাঁটিতে।
নভেম্বরের ৯ তারিখে উত্তরের শহর মাজার-ই-শরীফে বিস্ফোরক-বোঝাই এক লরি নিয়ে জার্মান কনস্যুলেটে ঢুকে পড়ে এক আত্মঘাতী। এ ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়। আহত হয় ১২৮ জন।
গত বছর ডিসেম্বরে এক তালেবান আত্মঘাতী হামলাকারী আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় ৬ জন নিহত হন। ২০১৫ সালে এটি ছিল বিদেশি সেনাদের ওপর হামলার বড় ঘটনাগুলোর অন্যতম।
/বিএ/