হামলায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে তাদের কথিত বার্তা সংস্থা আমাক নিউজ এজেন্সি।
বৃহস্পতিবার বাগদাদের প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে হিল্লা এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্প ও রেস্তো রাঁসংলগ্ন সড়কে এ হামলা চালানো হয়। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে পবিত্র শহর কারবালায় আরবাইন নামের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে বাসযোগে তীর্থযাত্রীরা ফিরছিলেন।
আরবাইন হচ্ছে ইমাম হোসেন (রা.)-এর চেহলাম। এটি শিয়াদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান। ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী ইরাকের কারবালার পবিত্র ভূমিতেই ইয়াজিদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দুই দৌহিত্র ইমামম হোসেন এবং ইমাম হাসান। এই পবিত্র নগরীতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন তারা। সে কারণেই ইরাকের কারবালা শহরে প্রতিবছর এ উপলক্ষে শিয়ারা জমায়েত হয়।
বৃহস্পতিবার সেখান থেকে ফেরার পথে তীর্থযাত্রীদের বাস আল হিল্লা শহরের একটি পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন রেস্তোঁরায় যাত্রাবিরতি করেন। এ সময় ওই রেস্তোঁরাটির কাছেই একটি ট্রাক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই ইরান ও বাহরাইনের নাগরিক।
ইরানি শিয়া তীর্থযাত্রীদের বহন করা বাসগুলোকে লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আত্মঘাতী হামলা চালানো গাড়িটি পার্ক করে রাখা ছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে পেট্রল স্টেশনটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পাশাপাশি অনেক গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
চলতি বছর অক্টোবরে আশুরা পালনের সময় ইরাকের বাগদাদে শিয়া মুসলিমদের এক সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৩২ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, আইএস জঙ্গিরা শিয়া মুসলিমদের এরকম উপলক্ষে হামলা চালিয়ে আসছে বেশ কিছুদিন ধরে। চলতি বছর এ পর্যন্ত আইএসের বোমা হামরায় বাগদাদে কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছেন। জুলাই মাসে বাগদাদের একটি জনপ্রিয় মার্কেটে বিস্ফোরকভর্তি ট্রাক বিস্ফোরিত হয়ে কয়েকশ মানুষ মারা যান। ২০০৭ সালের পর এটাই ছিলো সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।
/এমপি/