ইতিহাসই কাস্ত্রোর প্রভাবের বিচার করবে: ওবামা

ফিদেল-ওবামাকিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি কাস্ত্রোর পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে কাস্ত্রোকে বহুভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। তবে বিশ্বব্যাপী কাস্ত্রোর যে বিশাল প্রভাব, ইতিহাসই তার বিচার করবে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ৯০ বছর বয়সী ফিদেল কাস্ত্রোর জীবনাবসান হয়েছে বলে কম্পিত কণ্ঠে ঘোষণা দেন তার ভাই এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো। শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ওই ঘোষণার পরপরই শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েটো, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরিয়া, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিশ্বনেতাদের অনেকে শোক জানিয়ে টুইট করেছেন। ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্প্রতি কিউবার রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক গড়ে উঠার কারণে অপেক্ষা করা হচ্ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের শোকবার্তার জন্য।
ওবামা তার বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা জানি, এই মুহূর্তে কিউবা এবং বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কিউবানদের মধ্যে ব্যাপক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বয়ে চলেছে। বিশ্বব্যাপী একজন ব্যক্তি কাস্ত্রোর যে প্রভাব জমা হচ্ছে, ইতিহাসই তার বিচার করবে।’

ওবামা আরও বলেন, ‘গত ছয় দশক ধরে রাজনৈতিক মতভিন্নতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন ছিল। আমার প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর, আমরা অতীতকে পেছনে ফেলে, মতভিন্নতাকে পাশ কাটিয়ে নতুন করে সম্পর্ক রচনা করেছি। আমরা মতভিন্নতার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুত্ব, সংস্কৃতি, বাণিজ্য, মানবতার মতো বিষয়গুলো নিয়েও পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’

নিজেকে কিউবার বন্ধু বলে উল্লেখ করে ওবামা বলেন, ‘আজ আমরা ফিদেল কাস্ত্রোর পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করছি। কিউবার জনগণের প্রতি আমাদের শুভকামনা জানাচ্ছি। সামনের দিনগুলোতে আমাদের যেমন পেছনের দিকে তাকাতে হবে, তেমনি সামনেও এগিয়ে যেতে হবে।’

সূত্র: এনবিসি নিউজ।

/এসএ/