সিরীয় বিদ্রোহীদের অস্ত্র সহায়তা: ট্রাম্প থামলেও থামবে না কাতার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সহায়তা দেওয়া বন্ধ করলেও কাতার ওই বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি

শনিবার ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি বলেছেন, তার দেশ এককভাবে হলেও সিরীয় এবং রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিদ্রোহীদের সমরাস্ত্র সরবরাহ করবে। তিনি আরও জানান, বিদ্রোহীদের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার।  

বিদ্রোহীদের সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিয়ে আসছে কাতার। আসাদ বিরোধীদের সহায়তা দেওয়া অন্য দেশগুলো হলো – সৌদি আরব, তুরস্ক এবং পশ্চিমা দেশগুলো।

সম্প্রতি মার্কিন নির্বাচনে জয়ী ট্রাম্প সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সহায়তা না দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। এর ফলে গত কয়েক বছর ধরে সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসা মার্কিন প্রশাসন বিদ্রোহীদের ওপর থেকে সমর্থন সরিয়ে নিতে পারে। সেই সঙ্গে তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের কারণে তারাও সমর্থন সীমিত করতে পারে।

তবে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ পরিবারের সদস্য আল-থানি বলেছেন, ‘আমরা এই সমর্থন বন্ধ করবো না, তা অব্যাহত রাখব। আলেপ্পোর পতন হওয়ার মানে এই নয় যে, সিরীয় জনগণের দাবি থেকে আমরা সরে আসবো।’

সিরীয় বিদ্রোহীদের একাংশ

উল্লেখ্য, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত সরকারি বাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব আলেপ্পোর একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসও সেনাবাহিনীর দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ২০১২ সাল থেকে ওই এলাকা বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

সিরীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার তারা আলেপ্পোর একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। নগরীর হানানো আবাসিক এলাকা দখল করে নেওয়ায়, কার্যত পূর্ব আলেপ্পোর বিদ্রোহীরা এখন দুই অংশে ভাগ হয়ে পড়েছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা।

/এসএ/বিএ/