যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হচ্ছেন টম প্রাইস!



টম প্রাইসনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর টম প্রাইস। প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান দলীয় এ সদস্য একজন অর্থোপেডিক সার্জন। দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে তার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার খবর জানিয়েছে রয়টার্স। এছাড়া নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য আটলান্টা জার্নাল কনসোর্টিয়ামও একই ধরনের খবর দিয়েছে।

এছাড়া ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন সাবেক সিআইএ প্রধান ডেভিড পেট্রাউস! এমনটাই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে রিপাবলিকান শিবিরে। সোমবার নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাছাইয়ে তৎপর হন ট্রাম্প। পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে নিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাইক পেন্স জানিয়েছেন, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস ও মন্ত্রিসভার বিভিন্ন পদে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাম ঘোষণা করা হতে পারে।

রিপাবলিকান শিবির বলছে, ডেভিড পেট্রাউসের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক আস্থা রয়েছে। সম্প্রতি পেট্রাউসের সঙ্গে ঘণ্টাখানেকের এক বৈঠক করেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই বৈঠকের পর টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘মাত্রই জেনারেল পেট্রাউসের সঙ্গে বৈঠক করলাম। খুবই অভিভূত!’

পেশাগত জীবনে ডেভিড পেট্রাউস ইরাকে মার্কিন সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর মার্কিন কমান্ডার হিসেবেও কাজ করেছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর পদমর্যাদার সাবেক নারী কর্মকর্তা পলা ব্রডওয়েলের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে ২০১২ সালে তিনি সিআইএ প্রধানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ওই সময়ে সিআইএর কর্মীদের প্রতি পাঠানো এক বার্তায় পেট্রাউস বলেন, ‘আমার বিয়ের ৩৭ বছর পেরিয়ে গেলেও দুঃখজনকভাবে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছি। একজন স্বামী হিসেবে এবং এমন একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে আমার এ ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।’

ফক্স নিউজের আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী এবং রাজনীতি সংক্রান্ত বিশ্লেষক মনিকা ক্রউলিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি বানানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।

মনিকা ক্রউলি কেবল ফক্স নিউজ টেলিভিশনের বিশ্লেষক নন, তিনি একই সঙ্গে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন টাইমস-এর একজন কলামিস্টও। পলিটিকোর ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি ট্রাম্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শক।

মনিকার আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রটারি হিসেবে গুঞ্জন উঠেছিলো লাউরা ইনগ্রাহামের নাম। তিনি রক্ষণশীল রাজৈনৈতিক ভাষ্যকার এবং একটি রেডিও অনুষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। আর তার আগেই ক্ষমতা হস্তান্তর ও সরকার গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মনোনীত করার কাজ চলছে। সূত্র: রয়টার্স।

/এমপি/