যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ালে নাগরিকত্ব বাতিলের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

ডোনাল্ড ট্রাম্পযুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ালে নাগরিকত্ব বাতিলের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি নিজের এমন অবস্থানের কথা জানান। ওই টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘কাউকে আমেরিকার পতাকা পোড়াতে দেওয়া উচিত হবে না। যদি কেউ পতাকা পোড়ায় তাহলে তাদের অবশ্যই এর পরিণতি ভোট করতে হবে। হয় তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে, না হয় এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে!’

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওই টুইটে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ বলেছেন, তারা ট্রাম্পের এমন অবস্থানের পক্ষপাতী। কারণ জাতীয় পতাকার ক্ষেত্রে সরকারের জিরো টলারেন্স দেখানো উচিত। আর এর বিরোধীরা বলছেন, এটা মার্কিন জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। ট্রাম্প এ অধিকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসমূলক অপরাধে লিপ্ত হয়েছেন।

টুইটারে দেওয়া এর পরের পোস্টে তিনি টেনেসি অঙ্গরাজ্যে দাবানলের শিকার হওয়া লোকজনের প্রতি সহমর্মিতা জানান।

Trump

৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অধিকাংশ ইলেক্টোরাল কলেজের সমর্থন নিয়ে ডোনাল্ড টাম্প বিজয়ী হলেও সাধারণ ভোটারদের রায়ে ট্রাম্পের চেয়ে ২০ লক্ষাধিক ভোট বেশি পেয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। এমনটাই উঠে এসেছে নির্বাচনি ফলাফলে। নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের ইঙ্গিত আসতেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভে নামেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের অভিবাসী, মুসলিম ও অন্যান্য গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে দেয়া বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পেনসিলভানিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন, শিকাগো, সান ফ্রান্সিসকো, পিটসবার্গ, সিয়াটল, পোর্টল্যান্ড, ওরেগন, নিউ ইয়র্কসহ বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নামেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। এ সময় তারা ‘ট্রাম্প আমার প্রেসিডেন্ট নয়’, ‘নো ট্রাম্প’, ‘নো কেকেকে’, ‘নো রেসিস্ট ইউএসএ’, ‘ফ্যাসিস্ট ট্রাম্প’, ‘রেজিস্ট রেসিজম’, ‘জনগণের ঐক্য পরাজিত হবে না’, ‘অভিবাসীরাই আমেরিকাকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। অনেক বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেন। ওই সময় এমন বিক্ষোভের কঠোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টেল এক আদেশে বলা হয়, প্রথম সংশোধনী দিয়ে পতাকা পোড়ানোকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটা মুক্তমত প্রকাশের অধিকারকে সুরক্ষা দেয়। তবে মঙ্গলবারের এ টুইট অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন পরিবর্তন করে নতুন আইন করবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে। সূত্র: টুইটার, সিএনএন।

/এমপি/