গণহত্যার মুখে আলেপ্পোবাসী: জাতিসংঘ প্রতিনিধি

সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি স্টেফেন ও’ব্রায়েন নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেছেন, আলেপ্পোর অধিবাসীরা গণহত্যার মুখে রয়েছে আর সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। 

বিধ্বস্ত আলেপ্পো

স্টেফেন জানান, বুধবার নারী-শিশুসহ অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। তারা আলেপ্পো থেকে পালানোর সময় সরকারি বাহিনীর হামলায় মারা যান বলে স্টেফেন দাবি করেন।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনে সংস্থাটির ত্রাণ বিভাগের এই প্রধান বলেন, ‘বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত জেলাগুলোতে সরকারি বাহিনীর হামলায় শনিবার থেকে এ পর্যন্ত পূর্ব-আলেপ্পোর ২৫ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।’ আলেপ্পোতে নতুন করে বোমাবর্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিষদের ওই জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়।

স্টেফেন নিরাপত্তা পরিষদের কাছে অনুরোধ করেন, ‘মানবতার দোহাই দিয়ে আমরা সকল পক্ষের কাছে যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ করছি।’

তবে লড়াই বন্ধের এই আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভিতালি চারকিন।আলেপ্পো দখলে আসাদ সরকারকে রুশ বিমান বাহিনী সহায়তা করছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানা জানিয়েছে।

আলেপ্পো ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ

আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকার ৪০ শতাংশ আসাদ বাহিনীর দখলে নিয়েছে বলে সিরিয়ায় জাতিসংঘ দূত স্তাফান দি মিস্তুরা জানিয়েছেন।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানা জানিয়েছে, সোমবার সরকারি বাহিনী আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আল-হায়দারিয়া, আল-শাখোর, আল-ইনজারাত, আল-শেখ খেদর, জাবাল বাদ্রো এবং আল-হালকের বিস্তৃত এলাকা দখল করে নিয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চল বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আলেপ্পোতে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আটকা পড়েছিলেন। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী চলতি সপ্তাহে হামলার তীব্রতা বাড়ানোর পর সেখানকার জনগণ প্রাণ নিয়ে আলেপ্পো ছেড়ে আসছে।

জাতিসংঘের হিসেবমতে, ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত চার লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন।

সূত্র: আল-জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান।

/এসএ/