রাতভর মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়






মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রাতভর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় 'নবান্ন'তে অবস্থান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে, এখনও তিনি নবান্নেই রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের ৮০ শতাংশ জেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে দাবি করে মমতা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তার কার্যালয়ের সামনে থেকে সেনা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত কার্যালয় ছাড়বেন না তিনি। অবশ্য সেনাবাহিনী বলছে, তারা যা করছে তা পুলিশকে জানিয়েই করছে। এটা তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের অংশবিশেষ (রুটিন ওয়ার্ক)। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছেন মমতা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বাংলা ভার্সনের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকায় হঠাৎ করেই ‘সেনা মোতায়েন’ হয়েছে। যেসব স্থানে সেনা মোতায়েন হয়েছে, তার মধ্যে মমতার কার্যালয়ও রয়েছে। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটে পর্যন্তও তিনি সেনা মোতায়েনের প্রতিবাদে নিজের দফতরেই ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা আর কয়েকজন মন্ত্রীও। মমতা দাবি করেছেন, গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থেই তিনি রাতভর দপ্তরে অবস্থান করছেন। যতক্ষণ না তার দফতরের কাছ থেকে সেনা সরছে, ততক্ষণ তিনি অফিসেই থাকার অঙ্গীকার করেন। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এখনও তিনি 'নবান্ন'তেই অবস্থান করছেন।



তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, তারা জাতীয় মহাসড়কগুলিতে চলাচল করা ভারী যানবাহনের ওপরে একটি সমীক্ষা চালাচ্ছে, যেটা সারা দেশেই তারা নিয়মিত চালিয়ে থাকে। ট্রাক সহ ভারী যানবাহনগুলির আকার, বহনক্ষমতা প্রভৃতির বিস্তারিত তথ্য সেনাবাহিনী যোগাড় করছে বলে এক আনুষ্ঠানিক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'কোনও আপদকালীন পরিস্থিতিতে কোন এলাকায় কী ধরণের কত যানবাহন সেনাবাহিনী যোগাড় করতে পারে, সেটা জানার জন্যই এই তথ্যপঞ্জি নিয়মিত তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়া চলে সারা দেশজুড়ে। এজন্য প্রয়োজনীয় রাজ্য সরকারী অনুমোদনও নেওয়া হয়েছিল। তাদেরই কথামতো এই প্রক্রিয়াটি আমরা কয়েকদিন পিছিয়ে দিয়েছি'। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তরপূর্বাঞ্চলের আরও সাতটি রাজ্যের মোট ৬৮ টি জায়গায় একইভাবে সেনাবাহিনী ভারী যানবাহনের তথ্য যোগাড় করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 

এই প্রক্রিয়াটি বুধবার থেকে শুরু হয়েছে এবং শুক্রবারেও তা চলার কথা বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
/বিএ/