আইসল্যান্ডের পাইরেটস পার্টিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ

গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর ডানপন্থী ও বামপন্থীরা সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার এস্টাবলিশমেন্ট-বিরোধী পাইরেটস পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। 

পাইরেটস পার্টির প্রধান বিরগিত্তা জনসদোত্তির

আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট গুডনি জোহানেসন পাইরেটস পার্টির প্রধান বিরগিত্তা জনসদোত্তিরের সঙ্গে কথা বলার পর এক ঘোষণায় দলটিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান।

নির্বাচনে র‍্যাডিক্যাল সংস্কারের আহ্বান জানানো পাইরেট পার্টি তৃতীয় স্থান লাভ করে। ওই নির্বাচনে কোনও দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন লাভে ব্যর্থ হয়।

এর আগে নির্বাচনে প্রথম স্থানে থাকা রক্ষণশীল ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি ডানপন্থী ও মধ্য-ডানপন্থীদের সঙ্গে সংস্কার প্রশ্নে সরকার গঠনে একমত হতে ব্যর্থ হয়। পরে সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয় লেফট গ্রিন মুভমেন্টকে। তবে ডানপন্থী থেকে কট্টর বামপন্থীদের সঙ্গে আলোচনা চললেও তা সফল হয়নি। এরপরই তৃতীয় স্থানে থাকা পাইরেট পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

শুক্রবার প্রেসিডেন্ট গুডনি জোহানেসন বলেন, আমি সকল পার্টির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছি, আর তাদের মতামত শুনেছি। তারপরই বিরগিত্তা জনসদোত্তিরকে ডেকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

জনসদোত্তির জানান, ‘আমি আশাবাদী। একসঙ্গে কাজ করার একটা পথ নিশ্চয় বের হবে।’

এবারের নির্বাচনে ২০১২ সালে গঠিত পাইরেট পার্টি ৬৩ আসনের পার্লামেন্টে ১০ আসনে জয় পেয়েছেন।

চলতি বছরের এপ্রিলে পানামার আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মোস্যাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া নথি, যা পানামা পেপারস নামে পরিচিত, সেখানে দেখা যায়, আইসল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রী কোটি কোটি ডলার ফাঁকি দিতে দেশের বাইরে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন, যেখানে অর্থ পাচার ও কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ২০০৭ সালে সিগমুন্ডুর ও তার স্ত্রী একটি অফশোর কোম্পানি ক্রয় করেছেন। যে কোম্পানিটি আইসল্যান্ডের তিনটি ব্যাংকের বন্ডের মালিক ছিল। ওই বছর আর্থিক মন্দার সময় লোকসানের মুখে পড়ে ব্যাংক তিনটি বন্ধ হয়ে যায়। শুধু প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রী নন, তার মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যেরও বিদেশে অবৈধ ও গোপন সম্পত্তি রয়েছে। এই তথ্য ফাঁসের একদিন পরই (৫ এপ্রিল) পদত্যাগ করেন সিগমুন্ডুর।

তখন সিগমুন্ডুর ডেভিড গুনলাগসন-এর পদত্যাগের দাবিতে দেশটির রাজধানী রিকইয়াভিকে পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তার পদত্যাগের দাবিতে একটি অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করেন ২৮ হাজার মানুষ।

সূত্র: বিবিসি।

/এসএ/