ধর্মীয় নয়, রোহিঙ্গাদের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণ মানবিক: নাজিব

 

nonameধর্মীয় নয়, মানবিক কারণে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নির্মূল প্রক্রিয়ার শিকার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক রবিবার এই মন্তব্য করেছেন। রোহিঙ্গাদের বিপন্নতাকে ইসলামের অপমান বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রোহিঙ্গা নিপীড়নের প্রতিবাদে দেশটিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাজে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন নাজিব।
রবিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। মালয়েশিয়ার টিটিওয়াংসা স্টেডিয়ামে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজিত হয়। সমাবেশে মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এবং বিরোধী দল পার্টি ইসলাম সেমালয়েশিয়া (পিএএস)-এর প্রেসিডেন্ট আবদুল হাদি আওয়াংসহ অনেক রাজনৈতিক নেতা যোগ দিয়েছেন। যোগ দিয়েছেন কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীও।
সমাবেশে নাজিব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই তাদের (রোহিঙ্গা) রক্ষা করতে হবে। কেবল এজন্য নয় যে, তারা একই ধর্মে বিশ্বাসী। বরং এজন্য যে, তারা মানুষ। তাদের জীবনেরও মূল্য রয়েছে।’
তবে ধর্মীঁয় প্রশ্নেও রোহিঙ্গাদের প্রতি দায়দায়িত্বের কথা তুলে ধরেন নাজিব। সমাবেশে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোকেও সোচার হওয়ার আহ্বান জানাবেন। নাজিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু হলো ইসলামের অপমান। আমাদের ধৈর্য্যকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।’
এর আগে নাজিব অভিযোগ করেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর ‘জাতিগত নির্মূলীকরণ’ চালাচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে মিয়ানমারের নেতা সু চির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নাজিবের আহ্বানে সু চি সাড়া দেননি। নাজিব তার বক্তব্যে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া মিয়ানমারের নেতা অং সান সু চিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেন।

/এসএ/বিএ/