ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পে নিহত ৯২, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন অনেকে

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষ এবং স্থানী সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এখনও অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন।

স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩ মিনিটে উত্তর সুমাত্রার বান্দে আচেহর ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ও সিগলি শহরের ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল সমুদ্রের নিচে, ভূমি থেকে ১৭.২ কিলোমিটার গভীরে।

ভূমিকম্পের পর মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে অবশ্য সুনামি সতর্কতা জারি করেনি। ভূমিকম্পের পর ৩০ মিনিটের মধ্যে ৫ বার আফটার শক অনুভূত হয়। স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই।

আচেহ প্রদেশের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল তাতাং সুলাইমান স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডিপিএ-জকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে অন্তত ৯২ জন নিহত হয়েছেন।

ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানায়, ভূমিকম্পে গভীর আঘাত পাওয়া ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

উদ্ধারকাজ চলছে

পিদি জায়া জেলার প্রধান আইয়ুব আব্বাস জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভেঙে পড়ে। এতে হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি ধ্বংসস্তূপ সরাতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জরুরি ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন।

ভূমিকম্পের তীব্রতায় বান্দে আচেহতে বহুতল ভবন ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুলিশ স্টেশনও। উদ্ধারকাজ চলছে। অনেকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে তাদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন। নিহতের সংখ‌্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। উল্লেখ, ২০০৪ সালে ৯.২ মাত্রার প্রলঙ্করী এক ভূমিকম্প ও সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও অন্যান্য দেশের অনেক জনপদ ভেসে যায়। তখন কেবল আচেহ প্রদেশেই মারা পড়েছিলেন ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

সূত্র: আল-জাজিরা।

/এসএ/