টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ ডোনাল্ড ট্রাম্প


যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের বিচারে চলতি বছরের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ বুধবার সাময়িকীটির বিচারক প্যানেল এ ঘোষণা দেয়। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের আগেই টাইমের প্রচ্ছদে আসার সম্মান লাভ করলেন এ ব্যবসায়ী কাম রাজনীতিক।
মার্কিন রাজনীতিতে ঝড়ের বেগে ‘পরিবর্তন’ আনায় তাকে এ খেতাব দেওয়া হয়েছে। অবশ্য একইসঙ্গে তাকে ‘বিভক্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট’ (প্রেসিডেন্ট অব দ্য ডিভাইডেড স্টেটস অব আমেরিকা) হিসেবে আখ্যা দিয়েছে টাইম।
টাইম-এর ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষায়, ‘এটা একটা দারুণ সম্মান। আমি সত্যিই গর্ববোধ করছি।’
টাইম ম্যাগাজিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ন্যান্সি গিবস বলেন, ‘এমন অস্বাভাবিক পন্থায় ছলে-বলে বছরের কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করেছেন; এমন কাউকে এর আগে দেখেছি বলে আমার মনে হয় না।’
চলতি বছর টাইমের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্বের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান-এর মতো বাঘা বাঘা বিশ্বনেতারা। পাঠকদের ভোটে বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বেশ পিছিয়েই ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চূড়ান্ত বিচারে টাইমের সম্পাদকীয় পরিষদের রায়ে তিনিই ম্যাগাজিনটির বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারণার সময় ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ শ্লোগানে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের বাসনাকে নির্বাচনি রেটরিক বানিয়ে তুমুল আলোচিত ও সমালোচিত হন। শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের রাজনীতির বিপরীতে মেক্সিকান, মুসলমান, নারী, সমকামীসহ বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে স্থান দিয়ে বিভক্তিকে সামনে আনতে সমর্থ হন তিনি। যা বিশ্বব্যাপী নতুন মার্কিন স্বর আকারে সাড়া জাগায়।
উল্লেখ্য, টাইম ম্যাহাজিন প্রতিবছর শীর্ষ একজন ব্যক্তিকে নির্বাচন করেন যিনি  ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক প্রক্রিয়ায় পূর্ববর্তী বছরে সংবাদ জগতকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছেন। এই সেরা ব্যক্তিকে চূড়ান্ত অর্থে টাইম ম্যাগাজিনের সম্পাদক নিজেই মনোনীত করেন।
সূত্র: বিবিসি, টাইম।
/এমপি/বিএ/