বিধ্বস্ত পাকিস্তানি বিমানের কোনও আরোহী বেঁচে নেই

পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্তের পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।৪৮ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত পাকিস্তানি বিমানের কোনও আরোহী বেঁচে নেই। পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৪২ মিনিটে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চিত্রাল থেকে ইসলামাবাদের পথে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিমানটি নিখোঁজ হয়। প্রাথমিকভাবে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের তরফে ফ্লাইটটি নিখোঁজের কথা বলা হয়। পরে পুলিশ জানায়, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের হাভেলিয়ান শহরের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)-এর মুখপাত্র ড্যানিয়েল গিলানি জানান, ওই বিমানের ৪৮ আরোহীর মধ্যে বিদেশিসহ ৪২ জন যাত্রী, পাঁচজন ক্রু এবং একজন গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার  ছিলেন। এদের মধ্যে দেশটির জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী জুনাইদ জামশেদ ও তার পরিবারের সদস্য এবং চিত্রলের ডেপুটি কমিশনার ওসামা ওয়ারিখ ছিলেন।

বিমানটি বিধ্বস্তের পরপরই দুর্ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কাউকেই বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

পিকে-৬৬১ নামের ওই বিমানটি স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চিত্রল থেকে উড্ডয়ন করে। ৪টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি ইসলামাবাদে বেনজির ভুট্টো বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। তবে এর আগেই যাত্রাপথে বিমানটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

হাভেলিয়ান শহরের সরকারি কর্মকর্তা তাজ মোহাম্মদ খান বলেন, বিমানটি পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এরপর সেটিতে আগুন ধরে যায়। প্রায় সব যাত্রীই দগ্ধ হয়েছেন। ফলে তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনাস্থলের চারপাশে বিমানটির বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সূত্র: ডন।

/এমপি/