সেক্রেটারিয়েট পুলিশের পক্ষ থেকে ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট মোশাররফের বিরুদ্ধে বিচারক আটকের মামলাটি দায়ের করা হয়। সাবেক এ সেনাশাসক ৫ মাস ধরে ৬০ জন বিচারককে আটকে রেখেছিলেন এবং বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত রেখেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়। দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর সাবেক প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীসহ ওই বিচারকদের আটকে রাখা হয়েছিল।
গত ২২ নভেম্বর বিচারকরা পারভেজ মোশাররফের আইনজীবীর কাছে জানতে চান যে তার মক্কেলকে যখন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিশেষ আদালত আত্মস্বীকৃত অপরাধী ঘোষণা করেছে তখন এ মামলায় কিভাবে তার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে। জবাবে আইনজীবী দাবি করেন, দুই মাস পর পর তার মক্কেলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিও তার অনুকূলে নেই। আইনজীবীর দাবি, সংবিধানের ১০-এ অনুচ্ছেদ যা স্বচ্ছ বিচার নিশ্চিত করার কথা বলে তা অনুযায়ী মোশাররফের অনুপস্থিতিতেই তাকে উপস্থাপন করা যাবে। তবে তা নাকচ করে দিয়ে সরকারি প্রসিকিউটর আমির নাদিম তাবিশ বলেছেন, মোশাররফ আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত তিনি রেহাই পাবেন না কিংবা তার আইনজীবীও তার প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না।
এরপর আদালতের আদেশে বলা হয়, মোশাররফ আদালতে সশরীরে হাজির না হওয়া পর্যন্ত নিষ্কৃতির আবেদন করতে পারবেন না। আত্মসমর্পণ না করলে তাকে আত্মস্বীকৃত অপরাধী ঘোষণা করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়।
/এফইউ/