দেশব্যাপী অস্ত্রবিরতিতে 'সম্মত' সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহীরা

ফাইল ছবিতে এক সিরীয় শিশুসিরিয়ায় দেশব্যাপী অস্ত্রবিরতির এক পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে দেশটির সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিরি পুতিন এই দাবি করেছেন। তার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে সিরীয় অস্ত্রবিরতিতে সরকার ও বিদ্রোহী পক্ষের সম্মতির কথা জানানো হয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এবং আল নুসরা ফ্রন্টকে অস্ত্র বিরতি পরিকল্পনার বাইরে রাখা হয়েছে।

এরআগে দেশব্যাপী অস্ত্রবিরতি কার্যকরের ব্যাপারে একমত হয় রাশিয়া-তুরস্ক। আলজাজিরা  রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ওই দুই দেশের মধ্যস্ততাতেই দুই পক্ষ অস্ত্রবিরতির পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে।

বুধবার নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, রাশিয়া-তুরস্কের পরিকল্পনা অনুযায়ী আইএসের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো ছাড়া বাকি পক্ষগুলো এ অস্ত্রবিরতি কার্যকরে ভূমিকা রাখবে। তবে যেসব এলাকায় জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর লড়াই চলছে, সেগুলো অস্ত্রবিরতির আওতায় থাকবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুরস্কের একজন কর্মকর্তা জানান,  সিরিয়ার যেসব স্থানে বিদ্রোহীরা আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেসব স্থানে এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে। এ বিষয়ে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত রাশিয়া ও তুরস্কের কর্মকর্তাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনার কথা ছিল।

প্রস্তাবিত এ অস্ত্রবিরতি সফল হলে রাশিয়া ও তুরস্কের নেতৃত্বে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। কাজাখস্তানের রাজধানীতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেই শান্তি আলোচনায় সরকার ও বিদ্রোহীরা অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

২০১১ সালের ১৫ মার্চ গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এমন ধ্বংসযজ্ঞের সাক্ষী হচ্ছেন সিরিয়ার মানুষ। জাতিসংঘের হিসাবে,  গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত আড়াই লাখ মানুষ। আর ঘরছাড়া হয়েছেন এক কোটিরও বেশি মানুষ।

/বিএ/