এক সেকেন্ড দেরিতে এলো ২০১৭

 

noname'লিপ ইয়ারে' যেমন করে নিয়মিত আসা বছরগুলোর থেকে একটা দিন যুক্ত হয়, তেমনি 'লিপ সেকেন্ডে' যুক্ত হয় আরো একটি সেকেন্ড। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এ বছরে এরকম একটি সেকেন্ড যুক্ত হয়েছে। সে কারণে নতুন বছর আসতে এবার এক সেকেন্ড দেরি হয়েছে।
পৃথিবীর ঘূর্ণনে শ্লথ গতির কারণে পিছিয়ে পড়া সময়টাকে পূরণ করছে এই যুক্ত হওয়া এক সেকেন্ড সময়। অতিরিক্ত এই এক সেকেন্ড সময় যোগ করা হয়েছে নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে।  মধ্যরাতে, ঘড়িতে যখন ঠিক ২৩:৫৯:৬০ বাজবে, সেই সময়ে। ফলে ২০১৭ সাল আসতে একটু দেরি হলো।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন নিজে একবার ঘোরে তখন তার গতিতে তারতম্য হতে পারে। এর ফলে কোন একটি দিন অন্য একটির চেয়ে বড় বা ছোট হতে পারে। আর সময়ের এই ব্যবধান যখন খুব বেশি বেড়ে যায়, তখনই যোগ করা হয় অতিরিক্ত এই একটি সেকেন্ড। এতে সবকিছুর মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
এই 'লিপ সেকেন্ড' শেষবারের মতো হয়েছিলো ২০১৫ সালের জুন মাসে। আর এনিয়ে মোট ২৭ বার এধরনের ঘটনা ঘটছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্ট্যান্ডার্ড টাইম বা মান সময় এটমিক ক্লক থেকে পিছিয়ে পড়ার কারণে সময়ে এই পরিবর্তন আনতে হয়।
সারা বিশ্বের সব ঘড়িতেই এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে যেন সময়গত সমন্বয় সম্ভব হয়। পৃথিবী তার নিজের চারদিকে একবার ঘোরে চব্বিশ ঘণ্টায়। কিন্তু সেটি কখনো সামান্য দ্রুত হতে পারে। আবার কখনও হতে পারে একটুখানি শ্লথ। তবে কখন দ্রুত আর কখন শ্লথ হবে সেটা আগে থেকে বোঝা যায় না।

যুক্তরাজ্যে বিজ্ঞানী পিটার হুইবারলি বলেছেন, পৃথিবীর ঘূর্ণনের সাথে তাল মিলিয়ে সময় ধরে রাখতে এটমিক ক্লক কয়েক লক্ষ গুণে ভালো। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সময় থেকে যেনো সময় হারিয়ে না যায় সেজন্যেই এই লিপ সেকেন্ড।‘ ‘যে ক্ষণটা হারিয়ে যায় সেটা খুব অল্প একটু সময়। যদি এই সময়টা ঠিক করা না হয় তাহলে এক ঘণ্টার ব্যবধান তৈরি হতে সময় লাগবে এক হাজার বছর’ বলেন তিনি।

পৃথিবীর এই ঘূর্ণনের উপর নজর রাখে ফ্রান্সে ইন্টারন্যাশনাল আর্থ রোটেশান এন্ড রেফারেন্স সিস্টেমস সার্ভিস। কখন এই লিপ সেকেন্ড যোগ করার প্রয়োজন, তা এখান থেকেই ঘোষণা করা হয়।

/বিএ/