আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ

শান্তি আলোচনা বর্জনের হুমকি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির ব্যাপক লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে দেশটির বিদ্রোহীরা। সোমবার বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর প্রতিনিধিদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই আসাদ সরকার ও তার মিত্ররা গুলিবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এটা অব্যাহত থাকলে কাজাখাস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিতব্য শান্তি আলোচনা সম্পর্কিত সব ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি সফল হলে রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্যে আস্তানায় চলতি মাসের শেষদিকে এ শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বিদ্রোহীরা বলছে, আসাদ বাহিনীর অভিযানের মুখে রাশিয়া-তুরস্কের আহ্বানে অনুষ্ঠিতব্য এ আলোচনায় তারা নিজেদের অংশগ্রহণের প্রস্তুতি স্থগিত রেখেছে।

রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে সিরিয়াজুড়ে এ যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সম্মত হয় আসাদ সরকার ও সিরিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপগুলো। ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে সিরিয়াজুড়ে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আইএসের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো ছাড়া বাকি পক্ষগুলো এ অস্ত্রবিরতি কার্যকরে ভূমিকা রাখবে। তবে যেসব এলাকায় জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর লড়াই চলছে, সেগুলো যুদ্ধবিরতির আওতায় থাকবে।

এ যুদ্ধবিরতির আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, সিরিয়ার সরকার ও বিরোধী পক্ষের প্রতিনিধিদের কাজাখাস্তানে একত্রিত করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও তুরস্ক। আর দীর্ঘমেয়াদী এ সংঘাত নিরসনে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে কাজাখস্তান প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভ।

এদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর নগরীর প্রান্তে অবস্থান করা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে নতুন অভিযান। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ওই জেলায় সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় প্রাণহানির শিকার হচ্ছে শিশুসহ বেসামরিক মানুষ।

জাতিসংঘের হিসাবে, ২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত আড়াই লাখ মানুষ। আর ঘরছাড়া হয়েছেন কমপক্ষে এক কোটিরও বেশি মানুষ।

/এমপি/