মসুলে টাইগ্রিসের তীরে পৌঁছেছে ইরাকি বাহিনী

nonameইরাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর হাত থেকে মসুল পুনর্দখল করার লড়াইয়ে শহরটির মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া টাইগ্রিস নদীর তীর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে দেশটির সরকারি বাহিনী। মসুল শহরকে আইএস-এর হাত থেকে মুক্ত করার জন্য অভিযান শুরুর প্রায় তিন মাস পর এখানে এসে পৌঁছেছে বিশেষ বাহিনী।

মসুলের দুটি এলাকা এর মধ্যে আবারও দখল করে নিয়েছে ইরাকে সন্ত্রাস-দমন বাহিনী। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাকি বাহিনী তাদের কৌশলে কিছু পরিবর্তন আনার সুফল পাচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে এসব সাফল্যের ভেতর দিয়ে।

আইএসের এখন যোদ্ধাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তারা তিন দিক থেকে বিপক্ষের অগ্রাভিযানের মুখে পড়েছে। টাইগ্রিস নদীর ওপর যে পাঁচটি সেতু আছে তার একটিতে জঙ্গিরা অন্তর্ঘাতমূলক হামলা চালিয়েছে।

একজন ইরাকি কর্মকর্তা বলেছেন, হতাশা থেকেই এ হামলা। তবে মসুল শহরের বড় অংশই এখনও আইএসের নিয়ন্ত্রণে। ইরাকের বিভিন্ন অংশ এখনও তাদের প্রভাব রয়েছে।

গত ২ জানুয়ারি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদের বাগদাদ সফরের সময়ে দেশটির একটি জনসমাগমস্থলে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা চালায় আইএস। এতে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩৯ জন নিহত হন। বাগদাদের শিয়া অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলীয় শহর সদর এ আত্মঘাতী গাড়িবোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ বাগদাদের কাছে ইরাকি কাউন্টার-টেরোজিম সার্ভিস একাডেমি পরিদর্শনের পরই এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরিদর্শনের সময়ে সেখানে অবস্থানরত ফরাসি সেনাদের তিনি আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

একই দিন শিয়াদের পবিত্র শহর বলে পরিচিত নাজাফ শহরেও হামলার ঘটনা ঘটে। সদর শহরে অপেক্ষমাণ শ্রমিকদের ওপর এ হামলা চালানো হয়। হামলায় সাত পুলিশ সদস্য নিহত হন। সূত্র: বিবিসি।

/এমপি/