দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্নীতি কেলেঙ্কারি: জিজ্ঞাসাবাদের মুখে স্যামসাং প্রধান

জে লীদক্ষিণ কোরিয়ার সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই এর দুর্নীতিজনিত কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে স্যামসাং গ্রুপের প্রধান জে লী কে তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ প্রসিকিউটররা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্কের বন্ধু চোই সুনকে স্যামসাং সমর্থন যুগিয়েছিল কিনা তা নিয়ে তদন্ত করবেন প্রসিকিউটররা। চলতি সপ্তাহে স্যামসাং গ্রুপের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছিল। অবশ্য, তাদেরকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে থাকলেও, ২০১৪ সালে তার বাবা লি কুন হি হৃদরোগে আক্রান্ত আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে লিকেই স্যামসাং গ্রুপের প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন পার্ক। তবে দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। পার্কের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ তিনি তার বন্ধুকে অবৈধভাবে ক্ষমতার নেপথ্যে থেকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন। পার্ক জিউন-হাইয়ের বন্ধু চোই সুন-সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে স্যামসাং এবং হুন্দাই-এর মতো কোম্পানিও রয়েছে। ওই অর্থ সন্দেহভাজন একটি ফাউন্ডেশনের নামে নেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন।

পার্ক জিউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বন্ধুকে ওই অর্থ তুলতে সাহায্য করেন। তিনি চোই সুন-সিলকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছিলেন। গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পার্ক জিউন হাইকে অভিশংসিত করার পক্ষে রায় আসে। পার্লামেন্টের ভোটাভুটির পর থেকে পার্ক সাময়িক পদচ্যুত রয়েছেন। আর জানুয়ারির শুরু থেকে তাকে চূড়ান্তভাবে অভিশংসিত করার ব্যাপারে বিচার শুরু হয়েছে। পার্ককে স্থায়ীভাবে পদচ্যুত করা হবে নাকি পুনর্বহাল করা হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ছয় মাস সময় পাবে আদালত।

/এফইউ/