স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন দাবির সঙ্গে অবশ্য একমত নন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, নিহত ১০ ব্যক্তির মধ্যে ছয়জন কয়েক মাস আগে থেকেই কর্তৃপক্ষের হাতে আটক ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার এক সমাবেশে মিলিত হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের যেন বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়। একইসঙ্গে তারা কোনও অভিযোগ ছাড়াই আটক রয়েছেন এমন ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করেন।
মিসরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাষ্ট্রের শত্রু হিসেবেও আখ্যায়িত করেন এল আরিশ শহরের বাসিন্দারা। যে এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে সেখানকার এমপি’রও পদত্যাগের জানান তারা।
সমাবেশে এল আরিশ এলাকার একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি বলেন, মিসরের শাসক আপনি শুনুন, এল আরিশ ও সিনাইয়ের সন্তানরা একসঙ্গে রয়েছে। তারা নিজেদের পক্ষে কথা বলার জন্য একটি কমিটি নির্বাচন করবে। আপনার কারাগারগুলোতে তারা নিজেদের পুত্রদের নিরাপদ মনে করেন না। তারা শিগগিরই তাদের সন্তানদের মুক্তি চায়; বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে আদালতের কোনও রুলিং নেই। তারা চান আমাদের সন্তানদের যারা খুন করেছে তাদের যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। অন্যথায় আমরা নিজেদের মতো করে তাদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনবো।’
সাতদিনের মধ্যে দাবি মানা না হলে আইন অমান্যের প্রচারণা শুরুরও হুমকি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, এল আরিশ ও সিনাই উপত্যকার বাসিন্দারা মূলত বেদুইন উপজাতির সম্প্রদায়ের মানুষ। কয়েক বছর ধরেই সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে এক ধরনের অস্থিরতা রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ওই এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অভাব রয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সঙ্গে সরকারের সংঘাতে স্থানীয়রাও সমান্তরালভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এই এলাকায় প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে নির্যাতন চালিয়ে লোকজনকে হত্যার অভিযোগ উঠে। সূত্র: আল জাজিরা।
/এমপি/বিএ/