সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব লন্ডন-কে দেওয়া সাক্ষাতকারে ট্রাম্প দাবি করেন, বিপুল সংখ্যাক শরণার্থীকে জার্মানিতে জায়গা দেওয়া উচিত হয়নি। অনেক অভিবাসী নিয়ে দেশটি ভুল করেছে। এটা জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল-এর ‘সর্বনাশা ভুল’। পরে ট্রাম্পের এমন সমালোচনার জবাবে মেরকেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি-ও ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন। সিএনএন-কে তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের এভাবে সরাসরি কোনও দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলা ঠিক হয়নি।’
ব্রাসেলসে ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলেবার্গের সঙ্গে পরামর্শের পর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমিয়ের বলেন, ট্রাম্পের মন্তব্য জোটের মধ্যে উদ্বেগ ও আশঙ্কা তৈরি করেছে। এখন আমাদের পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ খেয়াল রাখতে হবে।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র টাইমস অব লন্ডন এবং জার্মান সংবাদপত্র দ্য বিল্ড-এ সম্প্রতি দেওয়া পৃথক সাক্ষাতকারে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং ব্রেক্সিট-সহ নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দেশটির জনগণের রায়েরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে জার্মানির কর্তৃত্ব রয়েছে। সংগঠনটি এখন পতনের দ্বারপ্রান্তে। ইইউ ইস্যুতে ব্রিটিশ জনগণের অবস্থান একটা স্মার্ট সিদ্ধান্ত, এটা একটা বিশাল ব্যাপার।
ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তিরও অঙ্গীকার করেন ট্রাম্প। গত বছরের গণভোটে ভোটাররা কেন ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দিয়েছে সেটার কারণ সম্পর্কেও তার ধারণা রয়েছে বলে জানান রিপাবলিকান পার্টির এই নেতা।
ট্রাম্পের ভাষায়, ‘আপনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে তাকান। এটা আসলে জার্মানি। প্রকৃতপক্ষে এটা জার্মানির জন্য একটা বাহন। এজন্য আমি মনে করি যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসাটা ছিল একটা খুবই স্মার্ট সিদ্ধান্ত। আমার বিশ্বাস অন্যরাও বেরিয়ে যাবে। আমার মনে হয়, একসঙ্গে থাকাটা খুব সহজ হবে না।’ সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।
/এমপি/