বিশ্ব অর্থনীতিতে গতি ফেরার আভাস আইএমএফ-এর

nonameবিশ্ব অর্থনীতির জন্য নতুন বছরে সুখবরের আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে, ২০১৭ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে চাঙাভাব ফিরে আসবে। উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক গতি বাড়বে। ফলশ্রুতিতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। ১৬ জানুয়ারি ২০১৬ সোমবার হালনাগাদ করা এক প্রতিবেদনে এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

‘আপডেট টু দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ শিরোনামে বিশ্ব অর্থনীতির এই পূর্বাভাস প্রতি তিন মাস পর হালনাগাদ করা হয়। এর আগে গত অক্টোবরের প্রতিবেদনে ২০১৭ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি। এবারের প্রতিবেদনেও তা বহাল রাখা হয়েছে। আর ২০১৮ সালের সম্ভাব্য বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

সোমবার হালনাগাদ করা প্রতিবেদনে বলা হয়, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর ২ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আর ২০১৮ সালে এটা আড়াই শতাংশ হতে পারে।

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় রাশিয়ার অর্থনীতিতে গতি বাড়বে। ঋণাত্মক অবস্থান থেকে দেশটির এবার ১ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

noname

২০১৬ সালের নভেম্বরে পুরনো নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কারণে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ। অক্টোবরের প্রতিবেদনে যেখানে ২০১৭ ভারতে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল; সেখানে সোমবার হালনাগাদ করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এটা ৭ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে।

বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়া, পর্যটন খাত ও অভ্যন্তরীণ ভোগ হ্রাস পাওয়ার প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে আসিয়ানভুক্ত দুই দেশ ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের। এছাড়া জাপানে চলতি বছর শূন্য দশমিক ৮ এবং ২০১৮ সালে শূন্য দশমিক ৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা, আফ্রিকার দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের কারণে উদ্বাস্তু ও অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার মতো উপাদানগুলো বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রবৃদ্ধি বাড়বে চীনের। তবে ল্যাটিন আমেরিকার ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোর প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। পর্যটন খাত থেকে প্রাপ্ত আয় কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে পারে তুরস্ক।

/এমপি/